ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘যুদ্ধাপরাধীকে শহীদ বলার মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
‘যুদ্ধাপরাধীকে শহীদ বলার মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা’ শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ডা. নুজহাত চৌধুরীসহ অন্যরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ‘শহীদ’ বলার মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুরের রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুজহাত চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ বলা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা।

আমার বাবার হত্যাকারীরা যদি শহীদ হন, তাহলে আমার বাবাসহ অন্য শহীদদেরা কী রাজাকার বলতে চান?

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যারা রাজাকারদের ‘শহীদ’ বলেন তাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থাকার অধিকার নেই। দৈনিক সংগ্রামের প্রকাশক ও সম্পাদককে গ্রেফতার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করে বিচার করতে হবে।

শহীদ সাংবাদিক-সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সায় বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সঠিক তালিকা করতে হবে। একইসঙ্গে রাজাকারদের সঠিক তালিকাও করতে হবে। আমরা যারা শহীদ পরিবারের সন্তান এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে।

সকাল থেকেই সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিসৌধে। তারা বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ আখ্যায়িত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
ডিএন/এমএএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।