ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয় দিবস উদযাপনে রাজশাহীতে ব্যাপক প্রস্তুতি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
বিজয় দিবস উদযাপনে রাজশাহীতে ব্যাপক প্রস্তুতি 

রাজশাহী: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। দিবসটি ঘিরে হাতে নেওয়া হয়েছে দুই দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি। 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক এসব কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিজয় দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হবে।

শোভাযাত্রাটি সকাল ১০টায় মহানগরের ভদ্রা স্মৃতি অম্লান চত্বর থেকে স্বচ্ছ টাওয়ার হয়ে রেলস্টেশন ও কাশিয়াডাঙ্গা মোড় হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী শিশু একাডেমিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইসলামী গান, কবিতা আবৃত্তি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রোববার দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। একই সময়ে সব সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। তিনি এসময় জেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং  বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গালর্স গাইডের অংশ গ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করবেন।

সকালে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। প্রবেশ মূল্য ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত জাদুঘর, পার্ক, চিড়িয়াখানা সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এদিন হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদন, শিশু নিবাস, অন্ধ, মুক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এস ও এস শিশুপল্লী, শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং বেসরকারি এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জোহর মসজিদসমূহে মোনাজাত ও অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধামতো সময়ে প্রার্থনা করা হবে। এদিন সব সিনেমা হল ও জনবহুল মোড়সমূহে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বিকেলে রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুল মাঠে আলোচনা সভা ও নারীদের ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। একই সময়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম জেলা সুধীজন একাদশ, মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশ এবং জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম সুধীজন একাদশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

সন্ধ্যায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গ্রিন প্লাজায় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া উভয় দিন সন্ধ্যা থেকে মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ আলাদা কর্মসূচি পালন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।