ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

'বিজয়ের দিনে আমরা সবাই ভিআইপি' 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
'বিজয়ের দিনে আমরা সবাই ভিআইপি' 

ঢাকা: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা শুধু এক টুকরো লাল-সবুজের কাপড় নয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। জাতীয় পতাকার লাল-সবুজে মিশে রয়েছে বাঙালির আত্মত্যাগের ইতিহাস। তাই লাল-সবুজের পতাকা আমাদের কাছে অত্যন্ত সম্মান ও গর্বের প্রতীক।

জাতীয় পতাকা ব্যবহারে নির্দিষ্ট কিছু আইন ও নীতিমালা রয়েছে। ইচ্ছা করলেই যে কেউ গাড়িতে অথবা বাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারেন না।

 

কোন কোন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে এবং কারা গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন- সে বিষয়টিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া রয়েছে পতাকা ব্যবহার বিধিমালা আইনে।  

আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে, নৌযান ও প্লেন পতাকা উত্তোলন করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি ছাড়াও স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের নেতা, মন্ত্রী সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির গাড়ি ও তাদের নৌযানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

তবে বিজয় দিবসে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, বাস-ট্রাক, সাইকেল, মোটরসাইকেলে, রিকশাভ্যানে বেশিরভাগ মানুষ জাতীয় পতাকা ব্যবহার করেন। একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই জাতীয় পতাকার এ ব্যবহার।

সাভার এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক আব্দুল কালাম রিকশায় সাত-আটটি জাতীয় পতাকা লাগিয়েছেন। রিকশায় এতগুলো জাতীয় পতাকা কেন লাগিয়েছেন জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বলেন, সারা বছরতো ভিআইপিরা গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে চলাফেরা করে। বিজয় দিবসে আমরা সবাই ভিআইপি। তাই আমিও রিকশায় জাতীয় পতাকা লাগিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
আরকেআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।