ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অধিকাংশ জেলা-উপজেলা সম্মেলন ছাড়াই আ’লীগের জাতীয় সম্মেলন

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
অধিকাংশ জেলা-উপজেলা সম্মেলন ছাড়াই আ’লীগের জাতীয় সম্মেলন

ঢাকা: কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্বেও অধিকাংশ জেলা ও উপজেলা সম্মেলন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। এসব জায়গায় সম্মেলন বাকি রেখেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দলটির জাতীয় সম্মেলন।

জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে জেলা, উপজেলা, থানাসহ তৃণমুল পর‌্যায়ে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। তবে এখন পর্যন্ত দলের ৭৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অর্ধেকেরও কম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ২৮টি জেলায় সম্মেলন করতে পেরেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি জেলায় সম্মেলন হয়েছে। আর ঢাকা বিভাগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাড়া আর কোনো জেলা সম্মেলন হয়নি।

আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত হয়েছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় সম্মেলনের আগে জেলা উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলন সমাপ্ত করার বিধান রয়েছে।

দলের একটি সুত্র জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সরাসরি দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখাশোনা করেন। তার নির্দেশে এই দুই মহানগরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সূত্রটি আরও জানায়, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে গঠিত বর্তমান কমিটি গত ৩ বছরে মাত্র ১টি জেলায় সম্মেলন করতে পেরেছে। সেটি হচ্ছে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার। এরপর আর কোনো জেলায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।  

দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের পর আরও ২৭টি জেলায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর বলা হয়েছিল, যে সব জেলা ও উপজেলার কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে সে সব স্থানে সম্মেলন করা হবে। কিন্তু অধিকায়শ জেলা ও উপজেলার কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে জেলার পাশাপাশি মাত্র শ’খানেক উপজেলায় সম্মেলন হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই জেলা, উপজেলাসহ তৃণমুল পর্যায়ে সম্মেলনের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১১টি টিম করে দেওয়া হয়েছিল। এই টিমগুলোতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা রয়েছেন।  

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, সময় স্বল্পতার কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ সবগুলো জেলা ও উপজেলা সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে জাতীয় সম্মেলনের পর মেয়াদ উত্তীর্ণ ওইসব জেলা, উপজেলা, থানা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জেলা সম্মেলন চলমান প্রক্রিয়া। যে সব জেলায় সম্মেলন হয়নি জাতীয় সম্মেলনের পর সেগুলো সম্পন্ন করা হবে। এতে জাতীয় সম্মেলনের কোনো সমস্যা হবে না।  

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলানিউজকে বলেন, অনেক জেলায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে সম্পন্ন করা যায়নি। জাতীয় সম্মেলনের পর সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এসকে/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।