শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে বাংলানিউজকে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুরবাড়াদী গ্রামের দিনমজুর ষাটোর্ধ্ব মওলা বকসো।
শুধু একদিনের কথা বলছিলেন না তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। যার কারণে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুরে খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে নেই তেমন কাজ। ফলে দুমুঠো আহার যোগানোই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের।
শুধু মওলা বকসো নয়, এরকম আরও শতাধিক দিনমজুর প্রতিদিনই সূর্যোদয়ের আগেই এসে জড়ো হয় শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায়। সেখান থেকেই একে একে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশে ছড়িয়ে পড়েন তারা। তবে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতার কারণে সেই ধারাবাহিকতার ছন্দপতন ঘটেছে। কাজের সন্ধানে এসে কাজ না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে।
কাথুলি গ্রামের দিনমজুর জয়নুল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, অন্য দিন এখানে এলেই মিলেছে কাজ। তবে গত তিনদিন ধরে প্রচণ্ড শীতের কারণে কোনো কাজ মিলছে না।
দৈনিক চুক্তিতে শ্রম বেঁচা আরেক শ্রমিক আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, কাজের সন্ধানে এসে কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। দিন এনে দিন খাই। তাই একদিন কাজ না পেলে বাড়িতে চুলা জ্বলেনা। ফলে পরিবারের জন্য খাবার যোগানো এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যহত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে স্থানীয় আবহওয়া অফিস।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশের ও চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। যা ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুক্রবার সকালে তাপমাত্রার কিছুটা বেড়ে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা কমেনি। এরকম পরিস্থিতি আরও দু’একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এসআরএস