ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ২ নারীকে ‘গণধর্ষণ’, আটক ৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ২ নারীকে ‘গণধর্ষণ’, আটক ৭

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দুই নারী যাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দেওরাছড়া চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৩টার দিকে ধর্ষণের শিকার দুই নারীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আটকরা হলেন সিএনজি চালক ইউসুফ আলী (৩৭), আলমগীর হোসেন (২৫), রুবেল মিয়া (২৭), ছলিম মিয়া (২৬), রবি লাল উড়াও (২৬), বিকাশ মোনন্ড (২৩), আবু সফিয়ান বাবুল (৪৫)।

পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার দুই নারীর মধ্যে একজন সিএনজি চালক ইউসুফ আলীকে চিনতেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ওই দুই নারী মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট রোড থেকে কমলঞ্জের মুন্সিবাজার যাবার উদ্দেশে সিএনজি চালক ইউসুফ মিয়াকে ফোন করে অটোরিশাটি রির্জাভ করেন। ওই দুই নারীর সঙ্গে তিন বছরের একটি শিশু ছিল। তখন রাস্তা খারাপের কথা বলে অটোরিকশা চালক ফাঁড়ি পথে কিছু দূর যাওয়ার পর দুইজন যাত্রী তোলেন। এসময় দুই নারী বাঁধা দিলে চালক জানায় তার পরিচিত এরা বিপদে পড়ছে সামনে গেলেই নেমে যাবে। পরে কমলগঞ্জ যাওয়ার পথে দেওরাছড়া চা বাগানের এক নির্জন জায়গায় গাড়ি থামায় চালক। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা আরও ৫/৬ জন দুই নারীকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে বনের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের গণধর্ষণ করা হয়। এরমধ্যে এক নারীকে সাতজন এবং অন্য নারীকে দুইজন মিলে গণধর্ষণ করেন। এ সময় ওই দুই নারীর সঙ্গে থাকা শিশুটিকে মারধর করা হয়।

পরে দুইনারী কৌশলের আশ্রয় নেন, তারা চালককে বলেন যা হবার হয়েছে এবার আমাদের পৌঁছে দেন। চালক তাদের নিয়ে আবার কমলগঞ্জের মুন্সিবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে রহিমপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ খানের দোকানে সামনে পৌঁছানোর আগে এক নারী জানান তার একটু জরুরি কাজ আছে এই দোকানে একটু থামতে হবে। দোকানের সামনে থামানো মাত্র তারা চিৎকার শুরু করেন। তখন চালক সিএনজি রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নির্যাতনের শিকার দুই নারীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত সাতজন অভিযুক্ত এবং তিনটি সিএনজি আটক করা হয়েছে।  

জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসবে তাদের আটক করা হবে। মামলা দায়ের পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।