ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘নুর ভালো আছে, চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
‘নুর ভালো আছে, চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই’

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি (সহ-সভাপতি) নুরুল হক নুরসহ ঢামেকে ভর্তি শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, নুর ভালো আছেন। আজ হঠাৎ তিনি বললেন যে, তার কনুইয়ে ব্যথা।

আমরা তার এক্সরে করেছি। রিপোর্ট ভালো আসলে আমরা তাকে আজই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেবো। এছাড়াও আরও ২-৩ জনকে আজ ছেড়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন>> ভিপি নুর কেবিনে, ফারাবী লাইফ সাপোর্টে

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢামেক হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> ডাকসুতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভাঙচুর, ভিপি নুরকে মারধর

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লুকোচুরি করছে’, শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঢামেক পরিচালক বলেন, তাদের চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরি করার কিছু নেই। আমরা তাদের জন্য মোট ১৩ জনের একটি মেডিক্যাল বোর্ড (প্রথমে ৯ জন পরে পর্যায়ক্রমে বোর্ডে ৪ জন সংযুক্ত) গঠন করি। এত বড় বোর্ড আগে কখনো হয়নি। তাদের যার যা চিকিৎসা প্রয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে সেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তুহিন ফারাবীর অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তার এইচডিইউতে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তারপরও অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ভালো হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা শতভাগ কনফিডেন্ট।

এরপর একে একে সবার শারীরিক অবস্থা ব্রিফ করা হয়।

তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন সোহেলের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে নেওয়া হবে। তুহিন ফারাবীর মাঝে মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হয়। এছাড়াও আমি দেখেছি সে ভয়ে থাকে, প্যানিক হয়ে যায়। সে বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে তাকে ওয়ার্ডে দেওয়া হবে।

আমিনুরের মাথায় আঘাত ছিল। আমরা পরীক্ষা করে তার কিডনিতে ইনফেকশন পেয়েছি। তাই তাকে নেফ্রোলজি বিভাগে (কিডনি বিভাগ) স্থানান্তর করা হবে। চিকিৎসাধীন মেহেদী হাসানের ব্লাড প্রেসার একটু বেশি।

ফারুক হাসানের বিষয়ে পরিচালক বলেন, ফারুকের কানে একটু সমস্যা ছিল। তাকে নাক-কান-গলা এবং অর্থপেডিক্স বিভাগের চিকিৎসকরা দেখেছেন। তাকে আজই ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে ১ সপ্তাহ পর তাকে ফলোআপের জন্য নাক-কান-গলা বিভাগ ও ২ সপ্তাহ পর অর্থপেডিক্স বিভাগে আসতে হবে।

নাজমুল মোটামুটি সুস্থ। তাকে আজ রিলিজ দেওয়া হবে। আরিফের চোখে সমস্যা এবং ব্লাড প্রেসার বেশি। তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন।

এদিকে তাদের চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যের বোর্ডের চিকিৎসকরা হচ্ছেন- নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. রাজিউল হক, এনেস্থেসিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোজাফফর হোসেন, নাক-কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমী, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদ, চক্ষু বিভাগের অধ্যাপক আনিছুর রহমান, ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল হক মাসুম, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খোরশেদ আলম, নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কনোল সাহা, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মতলেবুর রহমান, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল হক শাহীন ও ঢামেকের সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এজেডএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।