ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ঢাকা, উদযাপনে নানা কর্মসূচি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ঢাকা, উদযাপনে নানা কর্মসূচি

ঢাকা: ২০২০ সালে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসাবে ঢাকা নির্বাচিত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আর এই স্বীকৃতির উদযাপনে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে সরকার।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে ২০২০ সালের জন্য ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা আমাদের ও বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের।

আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরামকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।  

তিনি বলেন, আমরা মুজিব বর্ষে অত্যন্ত সফলভাবে ইয়ুথ ক্যাপিটাল উদযাপন করতে সমর্থ হবো। এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছি এবং বছরজুড়ে আয়োজিত হতে যাওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।  

‘উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানসহ মোট ১০টি ইভেন্টের আয়োজন করা হলে এ বছর ওআইসিভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে যুব সমাবেশ, ক্রীড়া, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি হবে। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে ও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষকে রাঙিয়ে তুলতে ২০২০ সালে ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে ঘোষণার মধ্যে বিশ্ববাসী ঢাকাকে নতুনভাবে জানবে।

বঙ্গবন্ধু সবসময়ই সোনার বাংলা বিনির্মাণের সবচেয়ে বড় কারিগর হিসেবে তরুণদের দেখাতে চেয়েছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার বক্তব্য ও মননে সর্বদা তরুণ সমাজের সেই অপার সম্ভাবনার কথাই গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসতো। ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে তারুণ্যের উৎকর্যের কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের শক্তি ও অমিত সম্ভাবনার কথা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাবে।

ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানসহ প্রাথমিকভাবে ১০টি ইভেন্ট আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান জাহিদ আহসান রাসেল।  

তিনি বলেন, ওআইসিভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে ৮টি লিড মিনিস্ট্রি এবং ২০টি কো-লিড মিনিস্ট্রি ইভেন্টগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবে। প্রথমবারের মতো আমাদের এই আয়োজনে ৫৭টি দেশের প্রতিটি থেকে অন্তত একজন অংশগ্রহণ করবে। ১০টি ইভেন্টে প্রতিটিতে অন্তত ১০ জন অংশগ্রহণ করবেন।

‘আমরা পারছি, আমাদের সক্ষমতা রয়েছে এটি দেখানোর জন্য বিভিন্ন দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।