ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নদীদূষণ কমাতে খালের মুখে বসছে ট্রিটমেন্ট ফেসেলিটিস প্লান্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
নদীদূষণ কমাতে খালের মুখে বসছে ট্রিটমেন্ট ফেসেলিটিস প্লান্ট

ঢাকা: নদীর নাব্যতা ও দূষণ কমাতে ঢাকার খালগুলোর মুখে ট্রিটমেন্ট ফেসেলিটিস প্লান্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-সচিব আব্দুস সামাদ। 

তিনি বলেন, নদীর প্রবাহমানতা রক্ষা ও অবৈধ দখল রোধ করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত টাক্সফোর্স সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নদীতে দূষণ রোধ করার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করা ও জেলা পর্যায়ে নদী রক্ষা কমিটিগুলোকে সক্রিয় করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদারকি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা ও নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিষয়ে পরামর্শ দেয়া, সুপারিশ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সামাদ এসব কথা জানান।  

নৌ-সচিব বলেন, নদীর প্রবাহমানতা রক্ষা ও অবৈধদখল রোধ করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি টাক্সফোর্স গঠন করে দিয়েছে। রোববার সেই টাক্সফোর্স কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলোর অবৈধ দখল অপসারণ করে সেখানে উন্নয়ন এবং নদীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য যে কাজ করা হচ্ছে সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।  

তিনি বলেন, নদী দূষণের কারণ হচ্ছে শিল্প কারখানায় ইটিপি না থাকার জন্য। আর একটি হচ্ছে সলিড ওয়েস্ট, সিটি করপোরেশনের বা ওয়াসার বর্জ্য সেগুলো আন ট্রিটেট নদীতে পড়ার জন্য। এছাড়া আমাদের মানুষজনও সচেতন নয়। এজন্য খালের মুখগুলোতে ট্রিটমেন্ট ফেসেলিটিস প্লান্ট তৈরি করতে পারি যাতে করে ট্রিটেট ওয়াটার নদীতে পড়ে। সেজন্য একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা অনেক কিছু দূর করলাম, কিন্তু জনগণ যদি আবার নদীতে আর্বজনা ও ময়লা ফেলেন তাহলে তো লাভ হবে না। এজন্য জনগণকেও সচেতন করতে হবে।  

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সামাদ বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে।  

তিনি বলেন, ঢাকার মধ্যে যে খালগুলো ছিল, সেগুলোর অনেকগুলোই নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলোকে উদ্ধার করার জন্য একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য সরেজমিনে দেখতে একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা নদী থেকে পুনরায় ময়লা অপসারণ করবে, পাড় রক্ষা করা ও ময়লা-আর্বজনা খালে ফেলা না হয় তা দেখবে। এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। আর একটি বিষয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আমাদের যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিটি রয়েছে তার আওতায় বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলার কমিটিগুলোকে একটিভ ও সহায়তা করা হবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিটি এ কাজ করছে। ইতোমধ্যে তারা ৬৪টি জেলা থেকে অবৈধ দখলদারদের একটি তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছে। আমরা নদীগুলো পুনরায় উদ্ধার ও নাব্যতা রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।