গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদরসহ সাত উপজেলায় দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘর পাচ্ছেন ভূমিহীন-গৃহহীন ৮৪৬টি পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রান্তিক গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য এসব ঘর নির্মিত হচ্ছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১০৫টি, সুন্দরগঞ্জে ২৭২, গোবিন্দগঞ্জে ১২০, সাদুল্লাপুরে ১৭৯, ফুলছড়িতে ৭৫, সাঘাটায় ৩৫ ও পলাশবাড়ীতে ৬০ পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত এসব ঘর।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রতিটি উপজেলায় ঘর নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। অন্য প্রকল্পের তুলনায় এ প্রকল্প অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করা হয়েছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। দ্রুতসময়ে এসব ঘর নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে দিনরাত কাজ চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত স্থানীয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজের অগ্রগতি ও গুণগতমান দেখতে সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় নিয়মিত গৃহনির্মাণ কার্যক্রম পরির্দশন করেছেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।
এদিকে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন জেনে খুশি উপকারভোগীরা। খাস জমিসহ পাকা ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। বর্তমানে স্বপ্নের ঘরে উঠতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন উপকারভোগীরা।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অর্থায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের 'আশ্রয়স্থল' হিসেবে জেলার ৮৪৬টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগীদের ঘর হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যাচাই-বাছাইয়ে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীসহ 'ক' শ্রেণিভুক্ত ভূমিহীন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ভূমিহীনদের এসব ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধা পাকা প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। পরবর্তীতেও গৃহহীনদের জন্য ঘর বরাদ্দ অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
আরএ