ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৫ দফা দাবিতে গ্রাম পুলিশদের মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২১
৫ দফা দাবিতে গ্রাম পুলিশদের মানববন্ধন ৫ দফা দাবিতে গ্রাম পুলিশদের মানববন্ধন। ছবি: শাকিল ভাই

ঢাকা: গ্রাম পুলিশদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন দেওয়া এবং জাতীয় বেতনের অন্তর্ভুক্ত করাসহ সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন।

শনিবার (২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের ক্ষমতা হাত বদল হয়েছে বহুবার। ক্ষমতা বদল হলেও আমাদের দিকে কেউ পেছন ফিরে তাকায়নি। প্রায় ৪০ বছরই এভাবেই আমাদের জীবন চলছে। আমরা মর্যাদা নিয়ে মানুষের মতো বাঁচতে চাই। বর্তমান সরকার ক্ষমতা আসার পর গত দেড় দশক ধরে বলে আসছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এ সত্য মেনে নিয়ে বলতে হয়, আমরা গ্রাম পুলিশরা নিম্ন আয়ের মানুষেও উন্নীত হতে পারিনি। নিত্যপণের বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন বেতন-ভাতা আমাদের জীবন বিষিয়ে তুলেছে। ’

বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান আকাশচুম্বি বাজার দরের সঙ্গে একজন দফাদারের সাত হাজার এবং মহলদারের ছয় হাজার পাঁচশ’ টাকা দিয়ে একটা পরিবার চলতে পারে না। এছাড়া, নির্ধারিত বেতন-ভাতার বাইরে রেশন, চিকিৎসাসহ অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। সরকারি অংশটুকু পেলেও ইউনিয়ন পরিষদ প্রদত্ত অংশ এবং যাতায়াত ভাতা অনেক ক্ষেত্রে আমরা পাচ্ছি না। ’

অবস্থায় গ্রাম পুলিশদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেল সংগঠনটি নেতারা।

সংগঠনের দাবিগুলো হলো— গ্রাম পুলিশদের জীবনমান উন্নয়নে বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন প্রদান ও জাতীয় বেতনস্কেলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সরকারি অন্য বাহিনীর ন্যায় রেশনিং ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাম পুলিশদের ঝুঁকি ও চিকিৎসা ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাম পুলিশদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এককালীন অবসর ভাতা দফাদার ৮ লাখ, মহালদার ৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দিতে হবে এবং অন্য বাহিনীর ন্যায় একটি কেন্দ্রীয় অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষ বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি বাবু ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান সমন্বয়কারী শাহজাহান কবীর জহির, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল, রাজেকুজ্জামন রতন, সংগঠনের কেন্দ্রীয়সহ সভাপতি আবুল কাসেম, ইস্কান্দার আলী, শাহজাহান সরদার, তাহলে সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আব্দুস সালাম ,আব্দুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সত্য নাথায়শ দাস, আনসার উদ্দীন, তাছলিমা আক্তার মায়াসহ অন্য নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।