ঢাকা: সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভাতা দেওয়ায় কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি না হয়। খুব সহজে যেন সাধারণ মানুষের কাছে ভাতা পৌঁছানো যায়, সেজন্য খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী জিটুপি (গভঃ টু পিপল) কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
এ সময় মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আমাদেরও সেদিক লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের সেবা দিলে তবেই আমরা সেরা হবো।
শনিবার (২ জানুয়ারি) ২২তম জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মধুমতি হলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য আমি আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যারা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী আছি, তাদের আরও তৎপর হয়ে দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে বুঝে কাজ করতে হবে এবং জনগণকে সুবিধা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যারোমা দত্ত, বাংলাদেশ সমাজসেবা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. সাফায়েত হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ সমাজসেবা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর সমাজের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। শিশুদের জন্যও অধিদপ্তর নিয়েছে কর্মসূচি। দারিদ্র্য বিমোচনে এ সেক্টরের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যেই সুদ-মুক্ত ঋণের পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে পল্লীর উন্নয়নে সেখানকার মানুষের কর্মদক্ষতা উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষসহ প্রতিবন্ধী ও শিশুদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করা হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা চাই প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। যারা একেবারেই গৃহহীন, ভূমিহীন, তাদের জন্যও সমাজসেবার প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চলমান আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে ঠেলে সাজানো এবং নতুন আরও কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। পদোন্নতি এবং অনেকগুলো নতুন পদ সৃজন করতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা চলছে, আশা করি ভালো কিছু হবে। এখন আমাদের প্রত্যেকের
নিজের জায়গা থেকেই আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করতে হবে। নিজের উন্নয়ন না হলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমারা আশা করি জাতি গঠনে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় হবে আমাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শেখ রফিকুল ইসলাম।
‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় সমাজসেবা দিবসের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিজস্ব এবং অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
এইচএমএস/আরআইএস