ঢাকা: সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি বাসটির চালক শহীদ মিয়াকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালীবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি হাফিজ আজিজ।
ঘটনার বিবরণে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর ভিকটিমকে তার দুলাভাই সিলেটের লামাকাজি নামক স্থান সুনামগঞ্জের দিরাই যাওয়ার জন্য ফাহাদ এন্ড মায়শা পরিবহনের বাসে তুলে দেন। বাসটি অনুমানিক দুপুর ২ টায় সুনামগঞ্জ পৌঁছায়, এরপর দিরাইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে একে একে প্রায় সকল যাত্রী নেমে যান। এরপর বাসটি দিরাই এর পাতারিয়ায় পৌঁছালে সহকারীকে চালকের আসনে বসিয়ে চালক শহীদ ভিকটিমকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় ভিকটিম আত্মরক্ষার্তে চিৎকার শুরু করে। ভিকটিমের চিৎকারে সুজানগর গ্রামসহ আশপাশের লােকজন গাড়িটি আটকের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শহীদ ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন ওই তরুণী। এরপর পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠান।
এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করা হয়।
ডিআইজি হাফিজ আজিজ বলেন, এরপর থেকে জড়িতদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে সিআইডি। দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শহীদের ছােট ভাই মাে. কছির ও দুলাভাই সুমনকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভােগড়া বাইপাস এবং উত্তরা দিয়াবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে গােপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, আসামি শহীদ ঢাকার সায়দাবাদ থেকে বাসে করে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
পরে শনিবার (০২ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জের পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহীদ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। প্রধান আসামি শহীদকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও সিআইডির ওই কর্মকর্তা।
** দিরাইয়ে বাসে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় হেলপারের স্বীকারোক্তি
** চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা, ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
** বাসচালক-হেলপারের ধর্ষণ চেষ্টা, বাস থেকে ছাত্রীর লাফ
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২১
পিএম/কেএআর