ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের এমনভাবে উদ্বুদ্ধ করে যে, আমরা দেশের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) আনোয়ার উল আলম শহীদ স্মরণে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সফিউল্লাহ এ কথা বলেন।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর চেয়ারম্যান বলেন, সি আর দত্তের তখন পাকিস্তানে পোস্টিং ছিল। যুদ্ধের সময় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তখন তিনি আমাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। তেমনি আবু ওসমান চৌধুরী চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।
সফিউল্লাহ বলেন, একদিন ঢাকা থেকে পাকিস্তানি এক ব্রিগেড কমান্ডার আমাকে লাঞ্চ করার প্রস্তাব দেয়। তখন আমি বলি, আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি ব্যস্ত আছি। তখন সেটা প্রত্যাখ্যান করি।
তিনি বলেন, আমরা যেভাবে নিজেকে আত্মউৎসর্গ করেছিলাম সেভাবে আমরা সম্মান পাইনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সাব-সেক্টর কমান্ডার হারুনুর রশীদ বীর প্রতীক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যকরী সভাপতি নুরুল আলম, সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী, জেনারেল সেক্রেটারি হারুন আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবিব প্রমুখ।
স্মরণ সভায় সরকারের কাছে তিন প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীর ঐতিহাসিক সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পবিত্র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। মুক্তিযুদ্ধের ১১টি যুদ্ধ অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে একটি করে 'মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা জাদুঘর' প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণের স্বার্থে সেক্টর কমান্ডার ও কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
টিএম/আরবি