ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০২০ সালে সড়ক-রেল-নৌ দুর্ঘটনায় ৭৩১৭ জনের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২১
২০২০ সালে সড়ক-রেল-নৌ দুর্ঘটনায় ৭৩১৭ জনের মৃত্যু বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ছবি: শাকিল

ঢাকা: বিদায়ী ২০২০ সালে সড়ক, রেল, নৌপথে পাঁচ হাজার ৩৯৭টি দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৩১৭ জন নিহত ও নয় হাজার ২১ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ৮৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় হাজার ৬৮৬ জন নিহত ও আট হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে।

একই সময় রেলপথে ৩২৩টি দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত ও ৭৯ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৮৩টি দুর্ঘটনায় ৩১৩ জন নিহত, ৩৪২ জন আহত ও ৩৭১ জন নিখোঁজ হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন ২২০ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেছে বলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে দেখা গেছে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে- বেপরোয়া গতি, বিপদজনক অভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার করা, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ, ছোট যানবাহন বৃদ্ধি, সড়কে চাঁদাবাজি, রাস্তার পাশে হাট-বাজার ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।

এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে সড়ক নিরাপত্তায় বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা, আইনের ত্রুটি চিহ্নিত করে সংস্কারপূর্বক ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা, মহাসড়কের উভয় পাশে ১০ মিটার খালি রাখার বিধান বাস্তবায়ন করা, দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা, জেব্রাক্রসিং অঙ্কন করা, গণপরিবহন চালকদের প্রফেশনাল ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা, গাড়ির ফিটনেস ও চালদের লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করা, দেশব্যাপী চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন গণপরিবহন নামানোর উদ্যোগ নেওয়া, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং একাডেমি গড়ে তোলা, গণপরিবহনে সেবা ও নিরাপত্তার মান পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের সব মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, জেলা প্রশাসকদের প্রতিমাসে একদিন গণপরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২১
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।