ঢাকা: ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’, প্রকল্পের টেকনিক্যাল প্রজেক্ট শিগগিরই অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপ দিতে ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়গুলোকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভাগ করতে বেশ কয়েকটি উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’, প্রতিপাদ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির দ্বিতীয় সভার শুরুতে তিনি এ সব কথা জানান।
সভায় বক্তব্য আরও রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল বলেন, ‘আমার গ্রাম, আমার শহর, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। এ অধিকারকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করে একটি টেকনিক্যাল প্রজেক্ট করেছি এবং সেটা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে প্রজেক্টটা অনুমোদন হয়ে যাবে। এরপর আমরা ১৫টি গ্রামে পাইলট প্রজেক্ট করবো।
তিনি বলেন, গ্রামকে শহরে রূপ দিতে আজকের সভায় বেশ কয়েকটি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়গুলো থেকে আসা একাধিক প্রস্তাব মূল্যায়ন করে দেখা গেছে, অনেক প্রস্তাবই ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না। এসব নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা দরকার, যারা নিয়মিত বসবে। একই সঙ্গে কয়েকটি মন্ত্রণালয় যাদের সঙ্গে পরস্পরের কাজের ধরনের মিল আছে, তাদের মিলিয়ে কয়েকটি সাব কমিটি করা হয়েছে। ক্লাস্টার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কমিটিগুলো ঘন ঘন মিটিং করে করণীয়গুলো নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি সহযোগিতা করবেন। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করে একটি টেকনিক্যাল প্রজেক্ট করেছি এবং সেটা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে প্রজেক্টটা অনুমোদন হয়ে যাবে।
প্রকল্প অনুমোদনের পর ১৫টি গ্রামে পাইলট প্রজেক্ট করা হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক সুবিধা পৌঁছে দিতে একটি প্রকল্প গঠন করা হয়েছে বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
গ্রামে কি ধরনের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল বলেন, ‘গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ যাবে, সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে, আধুনিক পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা, উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে, কৃষি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন এবং লাভজনক হবে। এছাড়া কর্মসংস্থান তৈরি, ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, বাজার ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করা হবে। সামগ্রিকভাবে একটি উন্নত জীবনযাত্রার জন্য যে ব্যবস্থাপনা মানুষের জন্য প্রয়োজন সেগুলোর সব কিছুই সেখানে করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস