রাজশাহী: রাজশাহীতে একটি ধর্ষণ মামলায় আদালত চত্বরেই অভিযুক্ত ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আর বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের বিচারক মো. মনসুর আলমের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে ভুক্তভোগী নারী নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত ধর্ষক এসএম সাখাওয়াত হোসেন রানা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশায়। তার স্ত্রী এবং ৩ সন্তান রয়েছে। আর ভুক্তভোগী নারীর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে গত ২৫ জুলাই চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন রানাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। তার বাবা মোখলেসুর রহমান সোমবার (১৯ জানুয়ারি) তার ছেলেকে বিয়ে করতে ভুক্তভোগী নারীকে প্রস্তাব দেন। সেদিনই আদালতে এ নিয়ে পিটিশন দায়ের করা হলে আদালত আসামিকে আজ বুধবার আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন। পরে আদালত চত্বরে তাদের বিয়ে সম্পন্নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী অভিযুক্ত ডা. রানাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হলে বিচারকের সামনেই বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। আর বিয়ের পর আদালত রানার জামিন মঞ্জুর করেন।
বিয়েতে ভুক্তভোগী নারীর পক্ষে আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম এবং রানার বন্ধু মাসুদুজ্জামান কাজল সাক্ষী হয়েছেন। রানার পক্ষে তার বাবা মোখলেসুর রহমান, ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলাম এবং হুমায়ুন কবীর নামে আরেকজন সাক্ষী হয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। দেন মোহরের ২৫ লাখ টাকা নগদ দেওয়া হয়েছে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালত রানার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এসএস/এমকেআর