ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কমিশনের বিনিময়ে ডাকাতদের সাহায্য করতেন মালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
কমিশনের বিনিময়ে ডাকাতদের সাহায্য করতেন মালা সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে গ্রেফতার হওয়া ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিতে তাদের মূলহোতা নারী সদস্য কোহিনুর বেগম ওরফে মালা। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার মুগদা থানাধীন মানিকনগরের ভাড়া বাসায় ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের আশ্রয়ও দিতেন’।

 

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী, চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ায় ডিএমপির থানা পুলিশসহ গোয়েন্দা বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এরমধ্যে গোয়েন্দা রমনা বিভাগ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাতদের আশ্রয়দাতা মালাসহ নয়জনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) মানিকনগর এলাকার একটি বাসা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়’।

ডাকাতদের মূলহোতা মালা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মালা ও তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন। কেউ যদি কখনও গ্রেফতার হলে বা বিপদে পড়ে তাদের জামিনের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন। তাদের এই সহযোগিতার জন্য তারা লুষ্ঠিত মালামালের একটি বড় অংশের ভাগ নেয়। তাদের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় মামলা করা হয়েছে’।

এদিকে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে অজ্ঞানপার্টির নয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে অজ্ঞান করার ৫টি স্প্রে, ৪টি মোস্তফা গুল, ৮টি  মলম ও জিপারে ৩ প্যাকেটে মরিচের গুড়া জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন,  ‘অজ্ঞানপার্টি চক্রের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় আগত ব্যক্তিদের টার্গেট করে। টার্গেট করা ব্যক্তি যখন বাসে উঠে তখন তারা সুযোগ বুঝে কৌশলে বাস যাত্রীদের চোখে মুখে মলম বা স্প্রে ছিটিয়ে অজ্ঞান করে তাদের সঙ্গে থাকা সবকিছু নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে’।
অন্যদিকে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ টিম তেজগাঁও এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারী দলের ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩০টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়’। তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এসব ছিনতাইকারী, চুরি ও ডাকাতদের পেছনে যারা কাজ করছেন এমন কয়েকজনের তথ্য আমরা পেয়েছি। তাদের অতি শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে’।

এছাড়া অপরাধ রোধে বিট পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

মুগদা থানার মানিকনগর গ্রেফতাররা হলেন-কোহিনুর বেগম ওরফে মালা (আশ্রয়দাতা), রাসেল মাহমুদ, মাসুদ মিয়া, শামীম, আমিনুল ইসলাম হৃদয়, পারভেজ,  শহিদুল, বাবু ওরফে ব্লেড বাবু, ও জয় মিয়া। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি ও ২টি ছােরা উদ্ধার করা হয়।

হাজারীবাগে থেকে গ্রেফতাররা হলাে-মােজাম্মেল হােসেন ওরফে মুজা, কালু, ইলিয়াস,  আনােয়ার হােসেন, সুমন হােসেন, ইকবাল হােসেন, মিটন,  রবি আউয়াল ও হেলাল।  

এই বিষয়ে তেজগাঁও থানায় নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান মাহবুব আলম।

তেজগাঁও এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মােবাইল চোরাকারবারী দলের গ্রেফতাররা হলেন-রবিন ওরফে নবী, সাঈদ, রুনা ওরফে রােজিনা, মনােয়ার, রুবেল মিয়া ওরফে হাসান ও আলামিন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।