ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরো চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরো চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া

সিলেট: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার ষোলো বছর পূর্তির দিনে সাক্ষী দিলেন আরো চার জন। এ নিয়ে এই হত্যা মামলায় গত ১৬ বছরে ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবির আসামিদের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মো আব্দুল্লাহসহ চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আদালতের পিপি সরওয়ার চৌধুরী আবদাল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শী রহমত আলী, আব্দুল মতিন ও ইমান আলী সাক্ষি দিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৪৭ জন এ মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন।

সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার আসামির সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ১৯ আসামি বিচারালয়ে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন আগামি ৩ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।

২০০৫ সালর ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়াজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেণেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ ৫ জন।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তিন দফায় তদন্ত করে সিআইডি। ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ প্রথম দফায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন বাদী মজিদ খান। ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য আবারো সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরপর ২০১১ সালের ২০ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

২০১১ সালের ২৮ জুন শাহ এএমএস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া এই অভিযোগপত্রের উপরও না-রাজি আবেদন করেন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরে গত ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে সাক্ষি না আসাসহ বিভিন্ন কারণে মামলার কার্যক্রম পিছিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এনইউ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।