মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জিয়াসমিন আক্তার (২২) নামে এক নারীকে জোরপূর্বক ডায়লেশন অ্যান্ড কিউরাটেজ (ডিঅ্যান্ডসি) পদ্ধতিতে গর্ভপাত করানোর চেষ্টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ওই নারীর চাচা।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লার বরাবর অভিযোগ করেন।
জানা যায়, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গর্জনা এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে জিয়াসমিন আক্তার শারীরিক অসুস্থা জনিত কারণে ২৪ জানুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসা চলছিলো ৫ মাসের গর্ভবতী জিয়াসমিনের। মঙ্গলবার দুপুরে ডাক্তার নাসিমার নির্দেশে মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ফাতেমা আক্তার জিয়াসমিনকে বেড থেকে বের করে জোরপূর্বক ডিঅ্যান্ডসি করান। এতে করে জিয়াসমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাসিমা বলেন, এ ঘটনার সময় আমি রোগী দেখার জন্য রাউন্ডে ছিলাম তবে ওই সময় কি ঘটেছে তা ডাক্তার রুমা বলতে পারবেন।
গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রুমা আক্তার বলেন, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে একই ধরনের রোগী ছিলো তবে আমি ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রোগী নিয়ে আসতে বলছি কিন্তু মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রোগী নিয়ে এসেছে তবে কেন নিয়ে আসছে ওই রোগী এ বিষয়ে আমি অবগত নই।
এ বিষয়ে মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ফাতেমার সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২০-২১ নম্বর বেডে দুটি রোগী পাশাপাশি ছিল। ২১ নম্বর বেডের রোগীকে আনতে গিয়ে মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ভুল করে ২০ নম্বর রোগীকে নিয়ে ক্যাথেটার পরানো শুরু করে। রোগী কান্নাকাটি শুরু করলে ক্যাথেটার পরানো বন্ধ করা হয়। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এনটি