সুনামগঞ্জ: ছয়মাস আগে পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন রাজন বিশ্বাস ও শান্তনা দেবনাথ। মেয়ে পক্ষের মিথ্যা মামলায় রাজন বিশ্বাস জেল খাটলেও বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সংসারও করছিলেন তারা।
ঘটনাটি ঘটে রোববার (৫ ডিসেম্বর) সকালে দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের পুরাতন কর্ণগাঁও গ্রামে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় ছেলে পক্ষে আহত হন, জীতেশ বিশ্বাস, স্বপন বিশ্বাস, রাজন বিশ্বাস, সাজন বিশ্বাস, দিবিন্দ বিশ্বাস, নিরঞ্জন বিশ্বাস, ধরনী বিশ্বাস, রেনু বিশ্বাস, শান্তনা বিশ্বাস, সাগর বিশ্বাস, কাজল বিশ্বাস ও মেয়ে পক্ষের জগবন্ধু দেবনাথ, রতিন্দ্র দেবনাথ, বাবুল দেবনাথ, বিপুল দেবনাথ, বনবামালি দেবনাথ, প্রদীপ দেবনাথ, শামল দেবনাথ, কান্ত দেবনাথ, রেখা দেবনাথ। আহতরা দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ছয় মাস আগে পুরাতন কর্ণগাঁও গ্রামের লালমোহন বিশ্বাসের ছেলে রাজন বিশ্বাস ও শশাঙ্ক দেবনাথের মেয়ে শান্তনা দেবনাথ পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার মামলা করলে দেড়মাস জেল খেটার পর জামিন পায় রাজন বিশ্বাস। কিন্তু শনিবার রাতে রাজন বিশ্বাসের ভাই সাজন বিশ্বাস মেয়ের চাচা নীরেশ দেবনাথকে তালই সম্বোধন করাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে রোববার সকালে দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আকরাম আলী বাংলানিউজকে বলেন, আত্মীয়তার সম্বোধন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
এনটি