নারায়ণগঞ্জ: ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে বিদায় নিচ্ছে ২০২১। ঘটনাবহুল এই বছরে বেশ গুরুত্ব পেয়েছিল জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ।
অভিযানের সময় সেখানে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শুনতে পান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের আসাদুজ্জামান জানান, নোয়াগাঁও এলাকায় অভিযানে তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। জঙ্গিরা তখন পোস্ট করে পোস্টের মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে। তবে হুমকি আমলে নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি।
রোববার (১১ জুলাই) দিনগত ১২টার দিকে নোয়াগাঁও এলাকার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ির অভিযান সমাপ্ত করে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিআইজি আসাদুজ্জামান জানান, ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে শক্তিশালী একটি বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। ওই ঘটনা তদন্তে মোটরসাইকেসহ আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই বোমা আড়াইহাজারে এই আস্তানায় তৈরি করা হয়। নোয়াগাঁও মিয়াবাড়ি এলাকায় একটি মাদরাসার পাশে এই বাড়িই সেটি।
মামুন জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর সামরিক গ্রুপের সদস্য। এদের এমন সামরিক সদস্যের সংখ্যা খুবই লিমিটেড হয়। তারা সাধারণত কোনো হামলা সংগঠিত করতে তার পরিকল্পনা করে থাকেন।
ডিআইজি জানান, মামুন নব্য জেএমবির সদস্য। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে হামলার জন্য বোমা তৈরি করছিলেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তাৎক্ষণিকভাবে নোয়াগাঁও এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে আরও এক জনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে পেয়ে জেলার বন্দর উপজেলার মদনপুরের কাজীপাড়ায় আরও একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়।
ডিআইজি আসাদুজ্জামান জানান, নিষ্ক্রিয় করা তিনটি বোমাই ছিল শক্তিশালী আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস)। সেগুলো খুব শক্তিশালী। দু’টি বোমার শব্দে পুরো এলাকা কম্পিত হয়। আরেকটি একটু কম শক্তিশালী। এসব বোমা এই কারখানায় মামুন নিজেই তৈরি করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এসআইএস