ঢাকা: একুশে পদকপ্রাপ্ত সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের (৭৬) মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে আইন, আদালত, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম।
এলআরএফ’র কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মাশহুদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিন মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠান। বিবৃতিতে এলআরএফ নেতারা বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিকাশে রিয়াজউদ্দিন আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তিনি আজীবন লড়াই করে গেছেন। রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতে যে শূন্যতা তৈরি হলো, তা পূরণ হওয়ার নয়। আমরা এলআরএফ পরিবারের পক্ষ থেকে সিনিয়র এই সাংবাদিকের বিদেহী আত্মার প্রতি মাগফিরাত ও তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকা দিয়ে রিয়াজউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকতা শুরু করেন। অর্ধশতকের সাংবাদিকতা জীবনে ডেইলি স্টার, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ডেইলি টেলিগ্রাফসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ড পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।
দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে। সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৯৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
কেআই/জেএইচটি