কুষ্টিয়া: ওহাব ও লাইলী বেগম। তারা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সম্প্রতি তাদের বাড়িতে একটি ছাগলের দুইটি বাচ্চা হয়। সেই বাচ্চা দুইটিকে খৎনা দিয়েছেন তারা। এরপর বাচ্চা দুইটিকে রঙিন কাপড়ে সাজিয়েছে। তাদের দীর্ঘ এ জীবনে অসংখ্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দাওয়াত খেয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের বাড়িতে কাউকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতে পারেননি তারা। তাই আত্মতুষ্টির জন্য ছাগলের খৎনা দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এ দম্পতি।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামের দিনমজুর ওহাব আলীর বাড়িতে ছাগলের খৎনা অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা দাওয়াত খান।
এদিকে ব্যতিক্রমধর্মী এমন আয়োজনের এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাগলের বাচ্চা দুটি দেখতে উৎসুক জনতা তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।
এ ব্যাপারে দিনমজুর ওহাব বাংলানিউজকে বলেন, ২৫ বছরের বিবাহিত জীবনে ঘরে কোনো সন্তান জন্ম না নেওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এবার আমার বাড়িতে একটি ছাগল দুইটি বাচ্চা জন্ম নেয়। তাই আত্মতুষ্টির জন্য এমন আয়োজন করেছি।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডাল, ভাত ও দই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম।
ওই এলাকার বাসিন্দা তানভির হাসান বলেন, ছাগলের খৎনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। অনুষ্ঠানটি আসতে পেরে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। জীবনে কখনো ছাগলের খৎনার অনুষ্ঠান দেখিনি এবং কোনোদিন অংশগ্রহণও করিনি। ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠানে সবাই খুব আনন্দ পেয়েছেন।
নয়ন মণ্ডল নামে আরো একজন বলেন, অনুষ্ঠানে সবাই খুব আনন্দ পেয়েছে এবং তাদের বাড়িতে আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়েছিল। ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানটি খুব ভালো লেগেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এনটি