ফেনী: ফেনীর পরশুরামের মির্জা নগরে দোকান কর্মচারী শাহীন চৌধুরীকে পিটিয়ে হত্যার পর লাপাত্তা স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে হত্যার ঘটনা ঘটলেও শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ঘটনার মূল অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টোকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মির্জা নগরের এক বাসিন্দা বলেন, ভারতের সীমান্তবর্তী সত্য নগর গ্রামে নুরুজ্জামানের বাড়ি। আগে থেকেই সীমান্তের ওপারের লোকজনের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল। অবৈধ পণ্য পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সুকৌশলে তিনি ভারতে পালিয়ে যান।
এদিকে এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মোহাম্মদ আরিফ ও আবদুর রহিম নামের দুই আসামি। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহুরা মুনার আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তারা ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন।
আদালতের পরিদর্শক গোলাম জিলানী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে পরশুরাম উপজেলার মির্জা নগর ইউনিয়নের উত্তর বাজার এলাকার সাবেক মেম্বার বাবুলের রোড সিমেন্ট দোকানে কর্মরত শাহীন চৌধুরী দোকানের পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবুল হাশেমসহ বেশ কজন তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করেন।
পরে নিহতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ও সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রাতেই এনায়েত হোসেন আকাশ (২২), আবদুর রহিম (২৫), মো. আজিম (২১), মো. আরিফসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামি আবুল হাশেম ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো এখনো পলাতক রয়েছেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নুরুজ্জামান ভুট্টো। তবে এখনও শপথ নেননি তিনি। এর আগেই হত্যা মামলায় আসামি হলেন এ চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এসএইচডি/আরবি