বরিশাল: উৎসবমুখর পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবেল বার্ষিক নির্বাচন-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে সভাপতি পদে কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল, মানবেন্দ্র বটব্যাল ও মুরাদ আহমেদ সমান ভোট পেয়েছেন।
তারা তিনজনই ২৪টি করে ভোট পাওয়ায় সভাপতি পদে আগামী সাতদিনের মধ্যে পুনরায় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইফুর রহমান মিরন।
এদিকে এবারের প্রেসক্লাব নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে মানবেন্দ্র বটব্যাল ও এসএম জাকির হোসেন প্যানেল। কার্যকরী পরিষদের ১৭টি পদের ১৪টিতেই বিজয়ী হয়েছেন তাঁরা। বাকি দুটি পদে অপর প্যানেলের কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম ইকবাল ও দপ্তর সম্পাদক পদে এম লোকমান বিজয়ী হন।
এছাড়া মানবেন্দ্র বটব্যাল ও এসএম জাকির হোসেন প্যানেলের সহ-সভাপতি সমকালের পুলক চ্যাটার্জি ও প্রথম সকালের সম্পাদক কাজী আল আমুন, সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক মতবাদের সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বরিশাল প্রতিদিনের এম জহির, কোষাধ্যক্ষ পদে সুখেন্দু এদবর, পাঠাগার সম্পাদক পদে দৈনিক মতবাদ এর বার্তা সম্পাদক খান রুবেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বরিশালের আজকাল পত্রিকার কে.এম নয়ন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে দখিনের মুখের বার্তা সম্পাদক আরিফিন তুষার নির্বাচিত হন। এর বাইরে কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- তপংকর চক্রবর্তী, কমল সেন গুপ্ত, দৈনিক মতবাদের প্রকাশক রাজ্জাক ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান, সমকালের সুমন চৌধুরী, এম মোফাজ্জেল। এর মধ্যে সদস্য পদে এম মোফাজ্জেল সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট এবং সম্পাদকীয় পদে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে.এম নয়ন সর্বোচ্চ ৪৯টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে এসএম জাকির হোসেন ৩৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী মিরাজ পেয়েছেন ৩৫ ভোট।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বরিশাল প্রেসক্লাব নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘোষণা করা হয় ভোটের ফলাফল। নির্বাচনে দুটি প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে কাজী বাবুল, সহ-সভাপতি পদে মনিরুল আলম স্বপন ও সদস্য পদে রফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর পরই প্রার্থী এবং সমর্থকরা আনন্দ-উল্লাস করেন। ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিজয়ীদের।
বরিশাল প্রেসক্লাব নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইফুর রহমান মিরন বলেন, ‘প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে সভাপতি পদে দুইজন প্রার্থী সমসংখ্যক ভোট পেলে টর্চের মাধ্যমে চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারনের বিধান রয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তিনজন হলে পরে সাতদিনের মধ্যে ফের ওই পদে ভোট গ্রহণের বিষয়টি গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে সভাপতি পদে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
এমএস/এএটি