হবিগঞ্জ: চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বিজিবি ও র্যাবের ৭ দফা অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার হলেও আটক হয়নি জড়িত কেউ। অবশেষে অষ্টম দফার অভিযানে উদ্ধার হওয়া গোলাবারুদের সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করল পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের চুনারঘাট থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। আটক ব্যক্তির নাম অমিত। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি এলাকার বাসিন্দা। রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
মো. আসাতুজ্জামান জানান, একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলিসহ আমিতকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে গোলাবারুদ রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। রাতেই তাকে সঙ্গে নিয়ে উদ্যানের অরণ্যে প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে একাধিক স্থানে মাটির নিচে রাখা গুলি ও মর্টার সেল উদ্ধার করা হয়।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৫টি লং রেঞ্জ প্রফেক্ট গ্রেনেড, ৫১০ পিস লং রেঞ্জ অটো মেশিনগানের গুলি ও ২৫টি বুস্টার গ্রেনেড অর্থাৎ গ্রেনেডের শক্তি বাড়িয়ে দিতে ব্যবহার করার গোলা। এগুলো সাধারণ গোলাবারুদ না; মিলিটিরিতে এসবের ব্যবহার হয়। আটক অমিতের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা সে ব্যাপার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলি ও চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ দফায় অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান এবং প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন একটি ব্রিজের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় নয়টি একনলা বন্দুক, তিনটি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে বিজিবি।
>>> সাতছড়ি উদ্যানে মিলল ১৫ মর্টার সেল, ৪ বাক্স গুলি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এনটি