সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কবিরপুর গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিসংতায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ইন্তাজ আলীর পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আহমদ আলীর পক্ষের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এরমধ্যে ৬ জনকে সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নেন।
রোববার অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলে ওই ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হীরা মিয়া আপেল প্রতীকে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আহমদ আলী (ফুটবল)।
ফলাফল ঘোষণার পর কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আহমদ আলীর সমর্থকরা তাদের পাশের বাড়ীর ইন্তাজ আলীর পবিবারকে বিজয়ী হীরা মিয়া (আপেল) ও অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নোমান আহমদ (মোরগ) প্রতীকে ভোট দিয়েছে বলে দোষারোপ করে। পরে এ নিয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একর্পায়ে সন্ধ্যায় আহমদ আলীর পক্ষের লোকজন ইন্তাজ আলীর বাড়ীতে হামলা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করলেও এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে আবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এরমধ্যে আহত আশ্বাদ মিয়া (২২), জাকিরুল মিয়া (১৮), জায়েদ মিয়া (৩৩), শানুর মিয়া (৭০), মাসুম আহমদ (৩৫) ও হুমায়ুন আহমদ (২২) কে সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপর আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করেছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনকে আটক করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এনএইচআর