ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পিপি প্রয়াস: ৩০০ জনের কর্মসংস্থান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
পিপি প্রয়াস: ৩০০ জনের কর্মসংস্থান পিপি প্রয়াস: ৩০০ জনের কর্মসংস্থান

ঢাকা: বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদাভিত্তিক ট্রেডে কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করছে সরকার।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (বিকেটিটিসি), একশনএইড বাংলাদেশ এবং এটুআই যৌথভাবে রাজধানীর বিকেটিটিসিতে দিনব্যাপী একটি জব ফেয়ার আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং একশনএইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নাজমুল আহসান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, এনডিসি।

দিনব্যাপী এ মেলায় বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং সম্পন্ন করা প্রশিক্ষণার্থীরা অন স্পট বুকিংয়ের মাধ্যমে চাকরির আবেদন করেন। যাদের মধ্য থেকে প্রায় তিন শতাধিক প্রশিক্ষণার্থীকে দেশের ১২টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা মৌখিক ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ট্রেনিং বা পড়াশুনা শেষে কোথায় চাকরি হবে, কীভাবে হবে? এসব চিন্তা না করে চাকুরিপ্রত্যাশীদের দক্ষতার ওপর জোর দিতে হবে। চাকরিদাতাদের জন্য আপনি কতটুকু কাজ করতে পারবেন, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করতে পারবেন তা দেখেই তারা আপনাকে নিয়োগ দেন। সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মধ্যে একটা সমন্বয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পথকে সুগম করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে ও নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখলে যে কেউ তার যোগ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারেন।

এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জব ফেয়ারে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশী ও চাকরিদাতা উভয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চাকুরিপ্রত্যাশীদের কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের পরিবর্তন হতে হবে। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে যে ট্যাবু আছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে না বদলাতে পারলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না। আজকের এ জব ফেয়ারের মাধ্যমে ৩০০ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এসই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।