নড়াইল: ‘জীবনের প্রত্থম আমাগের কেউ কম্বল দিলো, এতদিন ধরে কতজনরে কইছি কেউ আমাগের কথা শোনে না। এই গায়ের মানুষরে কেউ দ্যাহে না,আল্লাহ আপনাগের বাঁচায়ে রাখুক’।
বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে অশ্রুসজল চোখে এভাবেই বলেন কালিয়ার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধা আমিরোন বেগম। পরে পাওয়া কম্বলটি যত্নে গায়ে জড়িয়ে আনন্দে ভরে ওঠে আমিরোন বেগমের মুখ। তার মতোই প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ ইসলাম শেখ ও পরান দাসের কণ্ঠেও একই কথা।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা গাজিপুর-মাটিডাঙ্গা গ্রামের ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। কালেরকন্ঠ-শুভসংঘ এর ব্যবস্থাপনা সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে কালিয়ার মহাজন-গাজিপুর এলাকায় এ সকল কম্বল বিতরণ করা হয়। জেলায় মোট এক হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে।
২৭ ডিসেম্বর সকালে কালিয়ার গাজীপুর-মাটিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালেরকন্ঠ-শুভসংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান। কালেরকন্ঠ নড়াইল জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম। শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য শামস জেবিন, শরীফ মাহাদী,আশরাফ জীবন, ইয়াসির আরাফাত রাফি উপস্থিত হয়ে শীতার্ত গরীব মানুষের মাঝে কম্বল পৌঁছে দেন।
প্রচণ্ড শীতের মধ্যে প্রথমবারের মতো কম্বল পেয়ে খুশী নিভৃত গ্রামের অসহায় মানুষরা।
বাংলানিউজকে তারা বলেন, এলাকায় সরকারী কত কিছু আসে, শীতে কম্বল আসে আমরা শুনি, কিন্তু আমাগের চেয়ারম্যান মেম্বররা আমাগের জন্য কিছুই করে না। ঢাকা থেকে এসে গ্রামে এভাবে কম্বল দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান তারা।
কালেরকন্ঠ-শুভসংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান বাংলানিউজকে বলেন, বসুন্ধরা চেয়ারম্যানের এই উপহার দেশের ৫০ হাজার মানুষের কাছে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এসআইএস