খুলনা: খুলনার দাকোপ উপজেলার ৩০০ একর কৃষি জমি হুকুম দখলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। মোংলাবন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পের মাটি ফেলার জন্য খুলনার দাকোপ উপজেলার নয় নম্বর বানিশান্তা ইউনিয়নের বানিশান্তা কৃষি জমি রক্ষা কমিটি এসব কর্মসূচি পালন করে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বানিশান্তা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দাকোপ উপজেলার নয় নম্বর বানিশান্ত ইউনিয়ন সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। এখানকার অধিকাংশ জনগণের প্রধান ও একমাত্র জীবিকার উৎস কৃষি জমি। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষ পশুর নদের নাব্যতা বাড়ানোর লক্ষে ড্রেজিং করতে বানিশান্ত ইউনিয়নের ৩০০ একর জমিতে বালু ভরাটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ৩০০ একর জমি দখল হয়ে গেলে স্থানীয় এলাকার বসবাসের ও কৃষি জমিগুলো বালির নিচে চাপা পড়বে। কৃষি ফসল উৎপাদনের উপযুক্ততা সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ৩০০ একর জমি শ্যামল বাংলার সাহারাতে পরিণত হবে। ফলে অন্তত এক হাজার পরিবার বাস্তুহারা ও জীবিকা নির্বাহে বাধাগ্রস্ত হবে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হলে আশ-পাশের আরও গ্রাম বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। এ কারণে হুকুম দখল বাদ ও কৃষি জমিতে বালু ভরাট বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এলাকাবাসীর প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ।
তারা জানান, কৃষি জমি নষ্ট ও কৃষকদের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করে কথিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না। কৃষকদের নামমাত্র ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে বানিশান্তা ও চিলা ইউনিয়নে বালু ফেলতে দেওয়া হবে না।
মোংলাবন্দরের পশুর চ্যানেলের ড্রেজিংয়ের জন্যে ১৫শ’ একর জমির প্রয়োজন। এর মধ্যে মোংলার চিলা ইউনিয়নে ৭০০ একর ও দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষিজমি। এসব জমির মালিকরা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে কৃষি জমিতে বালু ফেলতে দিতে চায় না। যে কারণে তারা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এমআরএম/আরআইএস