ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অর্জন হয়নি শিক্ষার্থীদের টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
অর্জন হয়নি শিক্ষার্থীদের টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও অর্জন হয়নি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা। এজন্য টিকা না নিয়েই জেলার ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থীকে যেতে হবে শ্রেণিকক্ষে।

এদিকে হাওরবেষ্টিত লাখাই উপজেলায় টিকা পায়নি একজন শিক্ষার্থীও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা ও টিকা গ্রহণে ছাত্রছাত্রীদের অনিহার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে তাদেরকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে শিক্ষা বিভাগের প্রচারণায় ঘাটতিকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এদের সব শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে। যা মোট শিক্ষার্থীর ৩৬ শতাংশ। বাকী ৬৪ শতাংশকে এখনও টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

লা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টিকা পেয়েছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২ হাজার ১৩১ জন, বানিয়াচংয়ে ২ হাজার ৪৩৩, নবীগঞ্জে ৭ হাজার ৭৫৩, বাহুবলে ২ হাজার ৩৭৭, চুনারুঘাটে ৪ হাজার ১২০, সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৩৬৩, শায়েস্তাগঞ্জে ১ হাজার ও মাধবপুর উপজেলার ৩ হাজার ৮৭১ জন শিক্ষার্থী। তবে হাওরবেষ্টিত লাখাই উপজেলায় এখন পর্যন্ত টিকা দানের কার্যক্রম শুরুই হয়নি।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের হাতে ৭০ হাজার ৫৫ ডোজ ফাইজারের টিকা মজুদ। সঠিক সময়ে শিক্ষা বিভাগকে টিকা সরবরাহও করা হয়েছে। কিন্তু তারা সব শিক্ষার্থীকে টিকা কেন্দ্রে উপস্থিত করতে পারেননি।

একজন শিক্ষার্থীকেও কেন টিকা দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে লাখাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, টিকা প্রদানের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিতে পারিনি বিধায় এমনটি হয়েছে। তবে ১লা জানুয়ারি থেকে লাখাইয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলার এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬০০ জন। এর মধ্যে ৫০০ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন করলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অধিকাংশকেই টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সদর উপজেলার এডভোকেট মোঃ আবু জাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে ৩০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০০ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। টিকা নিতে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের অনীহা থাকার কারণে এমনটি হয়েছে। তবে আগামীতে সবাইকেই টিকার আওতায় আনতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. রফিকুল আলম বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে (ইউএনও) নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। শিগগির সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহল্লাহ জানান, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু সময়সীমার মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে কেন্দ্র প্রস্তুত করতে না পারায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি।

শিক্ষার্থীদের টিকা পেতে নানা প্রতিবন্ধকতা

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।