ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেল ‘সিসিএস স্বেচ্ছাসেবী’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২২
শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেল ‘সিসিএস স্বেচ্ছাসেবী’

ঢাকা: করোনার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’র (সিসিএস) করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবী প্লাটফর্ম ‘করোনায় স্বেচ্ছাসেবী’।  

করোনায় স্বেচ্ছাসেবীর বর্তমান নাম ‘সিসিএস স্বেচ্ছাসেবী’।

বিশ্বের ৮৯টি দেশের প্রায় ৪০ লাখ প্রতিযোগীর মধ্যে বাছাই করে ১৮২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ডে প্রতিযোগী হিসেবে ‘সিসিএস স্বেচ্ছাসেবী’র পক্ষ থেকে অংশ নেন মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক মো. আশরাফুল ইসলাম।  

করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবীদের মানবিক অবদানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০ এর অধীনে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ এর আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০ এর বছরব্যাপী প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গভবন থেকে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, রুশ ফেডারেশনের তাতারস্থান প্রজাতন্ত্রের যুব বিষয়ক মন্ত্রী তিমুর সুলেইমানোভ, মালদ্বীপের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আহমেদ মাহলুফ, আইসিওয়াইএফ সভাপতি তাহা আয়হান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।  

উল্লেখ্য, ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সিসিএস করোনার শুরুতে ‘করোনায় স্বেচ্ছাসেবী’ নামে প্লাটফর্ম করে দেশের ৬৩টি জেলা ও ৩৪৫টি থানায় স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করে কাজ করে। এ প্লাটফর্মে প্রায় ১১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন। দেশে করোনায় মৃত্যু শূন্যের কোটায় এলে ‘করোনায় স্বেচ্ছাসেবী’কে স্থায়ী রুপ দিয়ে নাম দেওয়া হয় ‘সিসিএস স্বেচ্ছাসেবী’।

স্বেচ্ছাসেবীরা অসহায় মানুষদের সহায়তা, করোনায় মৃতদের জানাজা-দাফন, খাদ্য সহায়তা, অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা, অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ, শীতকালীন পোশাক বিতরণ, করোনার মধ্যে অসহায়দের ইফতারি বিতরণ, সরকার নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস ও সিভিল সার্জনকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহায়তা করাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

দেশের ৬৪ জেলাকে ১৪টি অঞ্চলে ভাগ করে ১৪ জন অঞ্চল সমন্বয়ক এবং জেলা ও থানায় একজন করে সমন্বয়কের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবী টিম কাজ করে। ‘করোনায় খাদ্য সহায়তা’ প্রোগ্রামে প্রায় ১১ হাজার পরিবারকে বাজার সরবরাহ ও ৩ হাজার পরিবারকে ইফতার সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ সহায়তা করা হয়। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ দরিদ্র শিক্ষার্থীকে তিন মাস ২ হাজার টাকা করে বৃত্তিমূলক সহায়তা দেওয়া হয়।  
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।