ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি এখন বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন শহরের বিনোদন পিপাসু লোকজন পারিবারিক ও কাজের সুযোগ হলেই চিত্তবিনোদনের জন্য বের হয়ে বিনোদন স্পটে পৌর মিনি পার্ক ও ডিসি পার্কে ভিড় জমান।
লঞ্চটি ঝালকাঠির কালেক্টরেট স্কুল চত্বরেই ডিসি পার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীরে রাখা হয়েছে। লঞ্চটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। একদিকে বিনোদন স্পট ডিসি পার্ক আবার সেখানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ, অদূরেই শহরের মিনি পার্ক। তাই বিকেল হলেই জনসাধারণ বিনোদন স্পটে এলেই তাকিয়ে থাকে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটির দিকে। বিভিন্ন স্টাইলে ছবি তোলার পাশাপাশি চলছে সেলফি সংগ্রহও।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বাংলানিউজকে জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিকে ঝালকাঠির লঞ্চঘাট থেকে সরিয়ে সুগন্ধা নদী তীরের ডিসিপার্ক এলাকায় রাখা হয়েছে। সকাল ১০টায় সুন্দরবন-১২ লঞ্চ দিয়ে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিকে ডিসি পার্কে নেওয়া হয়।
পণ্য ওঠানামা ও যাত্রীদের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসন পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি লঞ্চঘাট থেকে সরিয়ে ডিসি পার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীরে নেয়। এদিকে দুর্ঘটনায় স্বজন হারানোর বেদনায় মালিকসহ ২০ জনকে আসামি করে সদর থানায় সুমন সরদার বাদী হয়ে মামলা করলে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটিতে জব্দ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল।
অগ্নিকাণ্ডে ঘটনার পর নদী থেকে এ পর্যন্ত নিখোঁজ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৫ মরদেহের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একজনের পরিচয় না পাওয়ায় তার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে সমাহিত করা হয়। পুলিশ বলছে, সমাহিত করা ওই ব্যক্তি সনাতন ধর্মের।
গত ২৩ ডিসেম্বর ভোররাতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে আগুন লাগে। প্রথমদিন লঞ্চের মধ্য থেকে ৩৭ জন এবং গত সাতদিনে সুগন্ধা ও বিষখালী নদী থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আরও ৫ জন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৭ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এখনও ২৯ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
এনটি