কুমিল্লা: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার কাঠালিয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় তামান্না আক্তার (৫) নামে নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।
মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার সময় ওই নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবু আবদুল্লাহ জানান, সোমবার ঘটনার পরে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এক শিশু নিখোঁজ ছিল। তাকে উদ্ধারে চাঁদপুর থেকে আসা একটি ডুবুরি দল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে অভিযান শুরু করে। তবে প্রবল স্রোত, তীব্র ঠাণ্ডা ও কচুরিপানার কারণে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করা হয়। মঙ্গলবার আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে শিশু তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দাউদকান্দি উপজেলার হাসনাবাদ এলাকা থেকে তিতাসের দুধঘাটা দরিয়াকান্দির উদ্দেশে ১১জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার যাত্রা করে। দুপুর ১টার দিকে ট্রলারটি মেঘনা উপজেলার চরকাঠালিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে একটি মাছের ঘেরে আটকা পড়ে। এসময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন-তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৬০), তার নাতনি আয়েশা আক্তার (১৫) ও মরিয়ম আক্তার (৭)। শিশু তামান্না নদীতে তলিয়ে যায়। বাকি সাতজনকে মেঘনার এলহাম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চরকাঠালিয়া এলাকাটি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উদ্ধার কাজে দেরি হয়।
জানা যায়, নিহতরা সবাই ঢাকার ডেমরা এলাকায় বসবাস করতেন। মামার বাড়ি যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হয় তারা। নিহত তিন শিশু-কিশোরীর বাবার নাম শেখ ফরিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
আরএ