ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ও সমন্বিত অংশীদারিত্ব অত্যন্ত জরুরি। জাতীয় অগ্রাধিকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় স্থাপন করতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতা অর্জন সম্ভব হবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) ও এর ওয়েবসাইট নির্মাণ বিষয়ক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অর্থায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে শক্তিশালী সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা পাশাপাশি চলতে হবে। যৌথ উদ্যোগ ছাড়া ঝুঁকি আমাদের অগ্রগতিকে ছাপিয়ে যাবে। তিনি বিসিডিপি ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের প্রশমন ও অভিযোজন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।
এর আগে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘বিসিডিপি ওয়ার্কিং গ্রুপসমূহের বিশদ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়। চারটি ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা এ কর্মশালায় তাদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।
সমাপনী বক্তব্য দেন ইআরডি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের উইং প্রধান এ.কে.এম. সোহেল।
এডিবির সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভীন বিসিডিপির কাঠামো ও অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। কর্মশালা পরিচালনা করেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার।
কর্মশালায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও এডিবির মোট ২৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
এসকে/জেএইচ