ময়মনসিংহ: নিজ গ্রামে মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় সমাহিত হয়েছেন বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী সাবেক বিচারপতি প্রবীণ আইনজীবী মো: তোফাজ্জাল হোসেন খান ওরফে টি এইচ খান (১০২)।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোরা গ্রামের নিজ বাড়ীর মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে হালুয়াঘাট সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় ও বিলডোরার ঔটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মৃত্যুকালে তিনি তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এর আগে ২০১১ সালে তিনি বিপত্নীক হন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি টি এইচ খান নামে সমধিক পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম মো: তাফাজ্জাল হোসেন খান। কর্মজীবনে টি এইচ খান ১৯৬৮ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস থেকে তিনি আইন পেশায় ফিরে এসে ১৯৭৪ সালে প্রথম বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত হয়ে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব, ক্রীড়া, তথ্য ও বেতারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি হলে তিনি আবারও আইন পেশায় ফিরে যান এবং ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করার জন্য গ্রেফতার হয়ে ১৫দিন কারাভোগ করেন।
বিচারপতি টি এইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের সাংসদ জুয়েল আরেং, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
আরইউ