খুলনা: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতে আবারও উচ্চঝুঁকিতে পড়েছে বিভাগীয় শহর খুলনা। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে শপিংমলগুলোতেও। বিক্রেতারা বলছেন, খুলনায় আবারও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে বেচাকেনা। তবে শপিংমলে বিক্রি কমলেও ফুটপাতগুলোতে কিছুটা বেচাকেনা হচ্ছে।
নগরীর রেলওয়ে মার্কেট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, এস এম এ রব শপিং কমপ্লেক্স, হ্যানিম্যান মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, জলিল টাওয়ার, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপনী কেন্দ্র, মশিউর রহমান মার্কেট, নিক্সন মার্কেট ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এসব মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এক মাস আগে মার্কেটগুলোতে যেমন জনসমাগম থাকতো, বিক্রেতারা ব্যস্ত থাকতেন পণ্য বিক্রিতে, এখন তার উল্টো চিত্র। মার্কেটে ক্রেতার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। অর্ধেকের নেমে এসেছে বেচাকেনা। অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের।
এ পরিস্থিতিতে ফুটপাতের নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ী আর হকাররা অন্য ব্যবসায়ীদের চেয়েও বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন। বেচাবিক্রি কম হওয়ায় তাদের ঘিরে ধরেছে হতাশা।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে এস এম এ রব শপিং কমপ্লেক্সের বিসমিল্লাহ বস্ত্র বিতানের বিক্রেতা কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, টুকটাক বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে মার্কেট। শীতের এ সময় বিয়ের মৌসুম। ভালো বেচাকেনা হত। কিন্তু এখন তার বিপরীত, অলস সময় পার করতে হচ্ছে।
রয়্যালের মোড় এলাকায় একটি মোবাইল কোম্পানির শো রুমের বিক্রেতা বলেন, ক্রেতার অভাবে বিক্রি একেবারেই নেই। বহনি পর্যন্ত হচ্ছে না।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপনী কেন্দ্রের সাদ ইলেকট্রিকের মো. নাজমুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নতুন করে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এমআরএম/এমআরএ