ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) থেকে উপজেলা পর্যায়ে ১৭৬০টি ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম চালু হবে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওএমএস কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ওএমএস যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় জেলা প্রশাসকদের সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওএমএসে ৩০ টাকা কেজিতে চাল ও ১৮ টাকা কেজিতে আটা দেওয়া হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস আমাদের চালু আছে সারাবছর। তবে এটা সীমিত ছিলো। ৭৩০ টি দোকানে চালু ছিল। আগামীকাল থেকে উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ১৭৬০টি ডিলারের মাধ্যমে আমাদের এএমএস চালু হবে। আমাদের চালের মজুদ এখন সর্বকালের সর্ব বৃহৎ মজুদ। এটা কোয়ালিটিফুল চালের মজুদ। আমি আশা করি মানুষ এটা নিয়ে খাবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে যেহতু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আছে, ১০টাকা কেজি চাল আছে এ জন্য ইউনিয়নে এটা চলবে না। কিন্তু একটা উপজেলায় যদি তিনটা পৌরসভাও থাকে সেখানে কর্মসূচি চলবে।
দেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গরু মোটাতাজা করার জন্যও অনেক চাল কিন্তু চলে যায়। সেখানেও একটি বিষয় রয়েছে। চালের কিন্তু হাহাকার নাই। উৎপাদন যেমন বেড়েছে হিউম্যান অ্যান্ড নন হিউম্যান কনজামশন দুটোই কিন্তু বেড়েছে। ২৫ লাখ মানুষের মুখ প্রতিদিন বাড়ছে।
তিনি বলেন, এখন চিকন চাল খাবার প্রবণতা বেড়েছে। একজন রিক্সাওয়ালা পর্যন্ত সরু চাল খেতে চায়। সরু চালের ওপর চাপ তো একটু পড়েছেই। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার থেকে নগদ দামে সরু চালটা তুলে নিয়ে প্যাকেট করে। বেশি দামে অনেকে প্যাকেটে কেনে। এখানে বাজারে একটি শর্টেজ পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, সরু চালের কিন্তু এখন অফ টাইম। সাধারণত বোরো মৌসুমে এটা উৎপাদন হয়, এখন ধান লাগাবে। আমরা এটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ফাইলও পাঠিয়েছি, আরও কিছু ট্যাক্স কমিয়ে সরু চাল বেসরকারি ভাবে আমদানি করা যায় কিনা।
আন্তর্জাতিক বাজারে চাল ও গমের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই কিন্তু ব্র্যান্ড আছে। ভারত থেকে যে মিনিকেট যেটা আসে আমরা ২৫ ভাগ পর্যন্ত ট্যাক্স এনে দেওয়ার পরও ১৭ লাখের অর্ডার করে মাত্র ১০ হাজার পেয়েছি। তার অর্থ সেখানে এতো দাম বেড়েছে সেটা এনে এখানে পোষাচ্ছে না। শিপের ভাড়াও চার-পাঁচগুন বেশি বেড়েছে।
ওএমএস কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় এ জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে মনিটরিং টিম করা হয়েছে। উপজেলা ও জেলায় যেন সব সময় মনিটরিং হয়। যদি কেউ অবৈধ মজুদ করে রাখে এটাও বলা হয়েছে তাদের প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট করা, মজুদ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে আমরা চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিয়েছি। আমরা এটা টাস্কফোর্স করে মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোলরুমও করেছি।
তিনি বলেন, ডিসিদের বলা হয়েছে, ডিলাররা ২ টন চাল নিয়ে গেলেও সেটা ওইদিন বিক্রি করার কথা। দেড় টন বিক্রি করে বাকিটা ব্ল্যাকে বিক্রি করে এটা হলো একটি বড় সমস্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯,২০২২
জিসিজি/জেডএ