ঢাকা: ইউক্রেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার ফলে কেউই এখন আর ইউক্রেন ছাড়তে পারছেন না।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ -উৎকণ্ঠা বাড়ছে। ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা জারি ও সেখানে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় প্রবাসীরা আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইউক্রেনের জেগেলোনিয়ান ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী রিজভী হাসান বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজকে জানান, ইউক্রেনে এখন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। কেউই এখন বাইরে বের হচ্ছেন না। রাস্তা ঘাটে শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। প্রবাসীর উদ্বেগ - উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সূত্র জানায়, ইউক্রেনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ায় ১৫ ফেব্রুয়ারি পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাংলাদেশিদেরকে অবিলম্বে সে দেশ ত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্য কোনো দেশে যেতে না পারলে তাদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে বলা হয়। একইসঙ্গে সকল বাংলাদেশিকে অত্যাবশ্যকীয় না হলে ইউক্রেনে সকল প্রকার ভ্রমণ পরিহার করার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়।
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস এক জরুরি বার্তায় ইউক্রেনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পরামর্শ দিয়েছিল। নিরাপদ স্থান হিসেবে ইউক্রেনের বাইরে কোনো নিরপেক্ষ দেশ অথবা ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে পোল্যান্ড সংলগ্ন সীমান্ত এলাকার কথা উল্লেখ করে দূতাবাস।
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা পুরো ইউক্রেনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং ইস্টার্ন ইউক্রেনের যেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে, সেখানেও অনেক বাংলাদেশি আছেন, যাদের অনেকেই শিক্ষার্থী।
ইউক্রেনে ঠিক কতজন বাংলাদেশি আছেন, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ইউক্রেনের একটি সূত্র জানায়, বৈধ-অবৈধ সব মিলিয়ে প্রায় সেখানে দেড় হাজার বাংলাদেশি থাকতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
টিআর/এসআইএস