ঢাকা: রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার তরুণ শ্যাম সুন্দর রায় ভালোবেসে বিয়ে করেন হেমা শর্মাকে। কিন্তু বিয়েতে মত না থাকায় হেমাকে বিয়ের রাতেই নিয়ে চলে যায় পরিবার।
আদালতে শ্যাম সুন্দরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, হেমা ও শ্যামের দাম্পত্য জীবন ফিরে পাওয়ার লড়াইটা ছিল ব্যতিক্রম। চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি তারা ভালোবাসার সম্পর্ককে বিয়েতে রূপ দেন। শ্যামের পরিবার এ বিয়েতে সম্মত থাকলেও পিতৃহীন হেমার মা-মামারা মেনে নেননি। তাই বিয়ের রাতেই হেমাকে পুলিশের সহায়তায় তুলে নিয়ে গিয়ে মামা গণেশের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন চালায় তার পরিবার।
এক পর্যায়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঢাকায় এনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হেফাজতে ৫ মাস রেখে দেওয়া হয় হেমাকে। তারপর তাকে দিয়ে শ্যামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করানো হয়। শ্যাম উপায় না পেয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ অক্টোবর এক আদেশে রোববার (১৩ নভেম্বর) হেমাকে হাজির করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশে পুলিশি প্রহরায় হেমাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। পরে তিনি আদালতের কাছে শ্যামের সঙ্গে বিয়ে, মা-মামাদের অত্যাচার ও জোর করে আটক করে রাখার বিষয়ে জানান। তাকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করানো হয় বলেও উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি স্বামীর কাছে ফেরার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।
আইনজীবী তাজুল ইসলাম আরও জানান, আদালত পরে হেমার মা, মামা, শ্যাম ও শ্যামের পিতার বক্তব্যও সরাসরি জানতে চান। সবকিছু শুনে বিচার কক্ষ থেকেই হেমাকে তার স্বামী শ্যামের কাছে তুলে দিতে নির্দেশ দেন বিচারকগণ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
ইএস/এমজে