ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, পৃথিবীর ৫১টা দেশে মাছ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। মৎস্যজাত পণ্য, নৌ ও সামুদ্রিক উপকরণও রপ্তানি করা হচ্ছে।
রাজধানীর (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, অনেক ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এক সময় কাজ করেছে নৌ পুলিশ। অনেক সে দৃশ্য বদলেছে। মৎস্য ও নৌ প্রাণিসম্পদ রক্ষা, মৎস্য আহরণ বৃদ্ধিতে নৌ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে করোনাকালে তিন দেশ মৎস্য আহরণে বড় কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। তারমধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আমরা নৌ পুলিশকে বিশেষ সহযোগিতা করতে পারি না। তবে তারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করছেন। দেশকে সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া এগিয়ে নেওয়া যায় না।
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ৭ হাজার পথ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। নৌপথকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ। এপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গঠন করা হয়েছে বিশেষায়িত ইউনিট নৌ পুলিশ।
তিনি বলেন, শুধু হালদা নয়, নৌ বাণিজ্য ও আভ্যন্তরীণ নৌ পথকে নিরাপদ করেছে নৌ পুলিশ। ৯০ শতাংশের ওপরে নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে নৌ পুলিশের সহযোগিতায়। নদী রক্ষায় সব সময় নৌ পুলিশকে ডাকলে পাওয়া গেছে। ঢাকার বুড়িগঙ্গা রক্ষার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা অনস্বীকার্য।
নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এমপি বেনজির আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
এমএমআই/এমএমজেড