ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও শিশুসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনার ১০ দিন পর সেই বাসচালক সোহেলকে (৩৩) আটক করেছে র্যাব-৮।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৮ এর মাদারীপুর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।
আটক সোহেল সাকুড়া পরিবহনের বাসচালক এবং রাজধানীর মিরপুরের আনন্দনগর এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।
র্যাব জানায়, দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট বাস ড্রাইভার পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প ওই পারিবহনের (সাকুরা) ড্রাইভারকে আটকের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৪ নভেম্বর র্যাব-০৮, বরিশাল (ফরিদপুর ক্যাম্প) জানতে পারে যে ওই বাস ড্রাইভার ঢাকা জেলার মিরপুরের দারুস সালাম থানাধীন উত্তর বাঘবাড়ী এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্য পাওয়ার পরে র্যাব- ৮ ও র্যাব-৪ এর বিশেষ সহায়তায় ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প সোমবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে সেখান থেকে আটক করে।
প্রসঙ্গত, গত ০৫ নভেম্বর ২০২২ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মাধবপুর এলাকায় সাকুরা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস বেপরোয়া গতিতে চলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসটি দুমড়ে-মুঁচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই দুইজন যাত্রী এবং পরবর্তীতে আরও তিনজনসহ সর্বমোট ৫ জন (তাদের মধ্যে শিশু ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছিল) নিহত হন। এছাড়া অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হন।
পরে দুর্ঘটনাটির বিষয়ে জানাজানি হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ওই দুর্ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধসহ মানববন্ধন শুরু করলে বিষয়টি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
এফআর