ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

মুক্তমত

সিলেটের সাদা পাথরে কালো হাত

সাঈদ খান | সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ
আপডেট: ০৯:৩৭, আগস্ট ১৯, ২০২৫
সিলেটের সাদা পাথরে কালো হাত

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর আর নেই—সব লুট হয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারল আমাদের চরিত্র।

পাহাড়-নদী-অরণ্যের কোনো অপরাধ নেই, অপরাধ ছিল আমাদের। আমরা প্রকৃতির বিস্ময়কে পর্যটনের পোস্টারে সাজালাম, পরে রাজনীতির সাদা কাগজে কালো চুক্তি লিখলাম, শেষে তুললাম লুটের বাজারে।

ফলে সৌন্দর্যের বদলে আজ আছে কেবল গভীর গর্ত, ধু ধু বালুচর, ধুলোময় শূন্যতা আর জাতিগত লজ্জা।

চার মাস ধরে প্রকাশ্যে পাথর তুলে নেওয়া হলো; দিনের বেলা, লোকচক্ষুর সামনে, ক্যামেরার সামনে, নীরব প্রশাসনিক নিস্তব্ধতায়। সংবাদপত্র খবর ছাপল, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হলো, তবু ‘জোরালো ব্যবস্থা’ ব্যর্থ হলো। প্রায় ৮০ শতাংশ পাথর উধাও।

সৌন্দর্য চলে গেলে পর্যটকও চলে যায়। তারা শুধু একটি প্রশ্ন রেখে যায়—‘এটি কারা করল?’
উত্তর কঠিন নয়। আমাদের রাজনীতির এক অপূর্ব অধ্যায়—‘ঐকমত্য’ এখানে অভিনীত হয়েছে। বিষয়টি আর কিছু নয়, পাথর তোলা।

বিরোধী দল, ক্ষমতাসীন দল, স্থানীয় প্রভাবশালী—তাদের ভাষা, পতাকা, স্লোগান আলাদা, কিন্তু স্বার্থ এক। যারা বহু বিষয়ে বিপরীত ধ্বনি তোলে, তারা পাথর উত্তোলনের প্রশ্নে ‘জনকল্যাণ’ শিরোনামে এক হয়ে গেছে। ইজারা, নীতিমালা, জীবিকা হিতৈষণা, শ্রমিক-মমতা—সব শব্দকে মোড়কে সাজিয়ে মূল বিষয়টিকে নৈতিকতার চশমা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক দেরিতে সরকার যখন বলল ‘না’, তখন শুরু হলো ‘গণলুট’—এক শিল্পকলা, যেখানে গণতন্ত্রের ভাষা উচ্চারিত হয়, কিন্তু গণস্বার্থের শিরা কেটে রক্ত ঝরানো হয়। ঠিক গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ ধারা অব্যাহত রয়েছে!

ভোলাগঞ্জে যা ঘটেছে, তা আসলে এক সর্বদলীয় লুটের ঐক্য।

প্রশাসনের চোখের সামনে, আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে, প্রকাশ্যে হাজারো শ্রমিক ভাড়া করে ডাকাতি। কোনো দল, কোনো জনপ্রতিনিধি, কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বাধা দেননি।

এই লুটপাটের মধ্যে আমরা কেবল একটি প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস হতে দেখি না, বরং রাজনীতির আসল রূপও দেখি। এখানে শুধু কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী নন, জড়িয়ে আছে সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসনের কিছু অংশ এবং প্রভাবশালী মহল। ক্ষমতাসীন এবং ভাবী ক্ষমতাসীন রাজনীতির পরিচয়ধারী স্থানীয় নেতারা সরাসরি মদদ দিয়েছেন, বিরোধী দলের নেতারা প্রকাশ্যে সমালোচনা করলেও ভেতরে ভাগ নিয়েছেন, কোনো কোনো জনপ্রতিনিধি থেকেছেন নীরব। প্রশাসনের অভিযান হয়েছে, কিন্তু শুরুর আগেই খবর ফাঁস হয়ে গেছে। ফলে কার্যত ‘লুটপাটে সর্বদলীয় ঐক্য’ গড়ে উঠেছে।

পাহাড়, নদী, সমুদ্র আর সবুজ প্রকৃতি আমাদের সৌন্দর্যদানের পাশাপাশি দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বৈচিত্র্যময় জীবনধারা। কিন্তু এই প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর আমাদের আচরণ-ব্যবহার কেমন? সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর সেই প্রশ্নের কঠিন উত্তর হাজির করছে।

সাদা পাথর, পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভারতের গহিন অরণ্য থেকে নেমে আসা ঝরনাধারা শত বছরের সাক্ষী হয়ে জমা করেছিল এই বিস্ময়। ১৯৯০-এর ঢলের পর ২৭ বছর ধরে অপেক্ষা করেছিল নদী। অবশেষে ২০১৭ সালের ঢলে আবারও সাদা পাথরের সমুদ্র জন্ম নেয় ভোলাগঞ্জে। উপজেলা প্রশাসন পাহারা দিল, ইউনিয়ন পরিষদ নজর রাখল; সেই থেকেই এটি পর্যটনের মানচিত্রে উজ্জ্বল এক সৌন্দর্যের নাম।

প্রকৃতি যুক্তিতে নয়, স্বশাসনে চলে। ‘সংরক্ষিত’ মানে সংরক্ষিত। জাফলং তো ইসিএ—প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, তারও ধার ধারা হলো না। পরিবেশ আইন, খনিজ সম্পদ আইন—সব কাগজে শক্ত; মাঠে? ওসব আইনকে কে দেখে! মাঠে শোভাযাত্রা, মানববন্ধন, চাপ, দর-কষাকষি, ‘মধ্যস্থতা’। সেই পুরনো খেলা—দায়িত্বশীল সংস্থা ‘আশ্বাস’ দেয়, পরে পিছু হটে, নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

যেদিন প্রশাসন ক্রাশারের বিদ্যুৎ কেটেছিল, সেই দিন থেকেই ‘আন্দোলন’ শুরু। দুই উপদেষ্টা এসে বললেন, নো মোর। পথে ফেরার সময় তাদের গাড়ি আটকে দিল কারা? উত্তরটি এলাকার সবাই জানে, কাগজে-কলমেও আছে, কিন্তু আইনের পরিণতি আজও ভবিষ্যৎ কালে লেখা।

এক রাতে ‘বিশেষ অভিযান’। বার্তা এলো—১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার, রাতেই নদীতে ফিরিয়ে দেওয়া, শতাধিক বারকি নৌকা ভেঙে ফেলা, কিছু জায়গায় ক্রাশারের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। শুনে ভালো লাগে, কিন্তু ভালো এই লাগা কি যথেষ্ট? এক বছরে এক কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লোপাট হয়েছে; আনুমানিক বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি, ১২ হাজার ঘনফুট উদ্ধার নিছক ব্যঙ্গ। অবশ্য অভিযান ‘চলমান’ আছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধার হয়েছে সাড়ে তিন লাখ ঘনফুটের কাছাকাছি। মামলা ১৯টি, গ্রেপ্তার ৬০, টাস্কফোর্সে আরো ৫২—কিন্তু যে ‘চক্র’ চালায়, তারা থেকে যায় আড়ালে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলায় আসামি সহস্রাধিক, গ্রেপ্তার কজন? সংখ্যার ব্যাকরণটিই বলে দেয়—আইনের হাত লম্বা হলেও মোটা লোকের শরীর আরো মোটা।

পাথর লুটের হাঁড়ির ভাত ভাগ হয় কিভাবে? শ্রমিকরা হাজারে হাজারে নামে, ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরি পায়—তার মধ্যে নৌকাভাড়া, দালালের ভাগ, খাজনা। নৌকা যার, সে রাজনৈতিক আশীর্বাদের আঁচ পায়; ট্রাক যার, সে থানার রাস্তা চেনে; যেখানে পাথর নামানো হয়, সেই খালি জমির মালিক হয় ‘দলের লোক’; পরে ক্রাশার মালিকের কাছে বিক্রি—ক্রাশার? বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় নেতা, ব্যবসায়ী সমিতি, ‘কমিটি’—সবাই মিলেমিশে ‘স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখে। ওপরের আশীর্বাদ না থাকলে চলবে না, নিচের ঘাম না থাকলে চলবেই না। এই শৃঙ্খলই ভোলাগঞ্জকে মরুভূমি বানিয়েছে।

পাথরখেকোদের প্রিয় গীত ‘পেটের ক্ষুধা’। ক্ষুধা আছে, সন্দেহ নেই, কিন্তু ক্ষুধার চিকিৎসা কি ডাকাতি? রাষ্ট্র কোটি কোটি টাকা দিয়ে আমদানি করে, বাজারে প্রতি ঘনফুটের দাম ৬০ থেকে ১৫০ টাকা, সেখানে শ্রমিকের টেকসই বিকল্প দেখানো কি এতই অসম্ভব? ক্ষুধাকে ঢাল বানিয়ে প্রকৃতির পেট কেটে নেওয়া আমাদের স্বার্থলোভী নৈতিকশূন্যতা ছাড়া আর কিছু নয়। এই শূন্যতার সুযোগ নিয়েই রাজনৈতিক ‘সর্বদলীয় ঐক্য’ পাথরকে টাকায়, টাকাকে ক্ষমতায়, ক্ষমতাকে নীরবতায় বদলে দিয়েছে।

পর্যটনের গল্পও আছে—ঘোড়া নিয়ে হাসান মিয়া যে আনন্দের জোয়ার বয়ে আনতেন, আজ তা শুকনা। দৈনিক দেড়-দুই হাজার টাকার আয় নেমে গেছে চার-পাঁচ শয়ে। দোকানির বিক্রি পড়েছে, গাইডের হাঁক থেমে গেছে, ফটো শুটের ফ্রেমে বাকি আছে শুধু ধুলার রং। পর্যটন শুধু ছবি নয়, সৌন্দর্য ও স্থানীয় অর্থনীতির উৎস। সাময়িক চাহিদার কাছে দীর্ঘমেয়াদি ‘সম্ভাবনা’ বিকিয়ে দেওয়ার রাজনীতি আসলে কাকে প্রতিনিধিত্ব করে?

রাতারাতি পাথর ফিরে আসবে না। নদীর বিছানা থেকে এত দ্রুত পাথর টেনে নেওয়ার ফলে হাইড্রো-মরফোলজির ভারসাম্য ভাঙল, ক্ষত তাড়াতাড়ি ভরে না। স্রোত পাল্টায়, ভাঙন বাড়ে, জল ঘোলা হয়। পর্যটক কি ঘোলা জল দেখতে আসবে? প্রশ্নটি শুধু আমাদের মাথার ওপর উড়ে যায় না; পরিকল্পনার বুক লক্ষ্য করে তীর ছোড়ে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের দল মাঠে, জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি করেছে, পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত, ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী। শুনতে ভালো, কিন্তু বাস্তবায়ন যদি না হয়, তাহলে আবার ‘অভিযান’, আবার ‘সংবাদের শিরোনাম’, রাতের আঁধারে ‘চক্র’ ফিরে আসবে।

ভোলাগঞ্জের কাহিনি স্থানীয় নয়, রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার কেস স্টাডি। আমরা উন্নয়নের ভাষায় বড় গল্প বলি—এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রো, ফ্লাইওভার। কিন্তু ম্যাটেরিয়াল সাপ্লাই চেইনকে শাসনের মধ্যে আনার সাহস দেখাই না। পাথর চাহিদা-জোগান সামলাতে আমরা নীতি নির্ধারণে দোদুল্যমান, আইন প্রয়োগে, জবাবদিহিতে কৃপণ। ফলে ‘গ্রে জোন’ বিস্তৃত, ‘অনানুষ্ঠানিক’ বাণিজ্য ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ রক্ষাকবচ পায়, রাষ্ট্র নাগরিকদের কাছে কেবল বক্তৃতা।

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় করণীয় স্পষ্ট। প্রথমত, রিয়াল টাইম নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে—ড্রোন, স্যাটেলাইট, জিপিএস এবং ওয়েটব্রিজ ডেটার মাধ্যমে প্রতিটি সরবরাহ চেইন নজরে রাখা। দ্বিতীয়ত, ট্রাক, ক্রাশার ও নৌকা স্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করতে হবে, যাতে আর কোনো সুযোগ না থাকে। তৃতীয়ত, কেস-ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন; অনলাইনে মামলার তথ্য, সময়সীমা এবং দায়ী কর্মকর্তার তথ্য প্রকাশ্য করতে হবে। চতুর্থত, অস্থায়ী ইকোলজিক্যাল স্টেবিলাইজেশন, ব্যাংক প্রোটেকশন এবং সেডিমেন্ট ট্র্যাপের মাধ্যমে পুনঃস্থাপন কার্যকর করতে হবে। পঞ্চমত, শ্রমিকদের জন্য বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে—টেকসই কাজ, ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেশন দিতে হবে। ষষ্ঠত, পাথরখেকোদের তালিকা ভূমিকাভেদে প্রকাশ করতে হবে, যাতে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা স্পষ্ট হয়। এক দল জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল। তারা এক ধরনের রাজনৈতিক আদর্শে দেশপ্রেমের ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াল। দায় এড়াল না। কিন্তু অন্য যারা ছিল এর সঙ্গে? তাদের কথা তো কেউ জানল না। তারা বরং একটি দলের ওপর দায় চাপিয়ে এড়িয়ে গেল। তাদের দলের সততার সনদধারীদের রক্ষাই করল। লজ্জা! তাদের জন্য ধিক্কার। সাধুবাদ তাদের, যারা দায়ীদের রক্ষায় কৌশলী হলো না। তাদের কর্মীদেরও আরো সচেতন, সতর্ক এবং দলের শীর্ষ নেতার কথা অনুধাবনের অনুরোধ থাকল।

এ পরিস্থিতিতে আমাদের নিজেকেও প্রশ্ন করতে হবে—আমরা কি সত্যি বদলাতে চাই? আমরা দ্রুত উত্তেজিত হই, দ্রুত ক্লান্ত হই এবং দ্রুত ভুলে যাই। ইতিহাস কখনো মাফ করে না; ভুলে গেলে তা ঢলের মতো ফিরে আসে। প্রজন্মকে কী বলব—‘তোমাদের নদী বিক্রি করেছি। কারণ কিছু লোকের পেট আর কিছু লোকের রাজনীতি জরুরি ছিল?’ রাজনীতির প্রকৃত কাজ হলো মানুষকে বাঁচানো, প্রকৃতিকে রক্ষা করা, বেচা না। উন্নয়ন মানে কেবল দরপত্র নয়, নদীর ঢেউও বাঁচানো। আবারও পাথর লুট হলে একসময় লুট হবে পাহাড়, পরে নদী। এখনই না বললে আগামী প্রজন্মের ‘না’ বলার জায়গা থাকবে না।

ভোলাগঞ্জের ঘটনা তিনটি মুখোশ উন্মোচন করেছে—স্বার্থবাদী রাজনীতি, দায় এড়ানোর রাজনীতি ও সর্বজনীন দুর্নীতি। এটি তাই স্থানীয় নয়, এটি জাতীয় চরিত্রের আয়না। আমরা দেখি চোরাবাজারের মুখ, ক্ষমতার মুখোশ, নৈতিকতার শূন্যতা ও নাগরিক উদাসীনতার গ্ল্যামার। আয়না শুধু ব্যঙ্গ করে না, সতর্কও করে। তবে পথ আছে—জবাবদিহি, প্রযুক্তি, আইন ও জনচাপের চার চাকার ওপর ভর দিয়ে লুট থামানো সম্ভব। প্রয়োজন শুধু সাহসী সিদ্ধান্ত—সর্বদলীয় ঐক্য সংরক্ষণে, লুট নয়, ঘোষণা দিতে হবে, নদী, পাহাড় ও অরণ্য কোনো দলের নয়, এগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ট্রাস্ট। সেই ট্রাস্ট ভাঙা যাবে না।

সাদা পাথর আজ নেই, কিন্তু ইতিহাস আছে। আমরা চাইলে ইতিহাসে লিখতে পারি—‘এখানেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। ’ না হলে লেখা থাকবে—‘এখানেই বাংলাদেশ মুখ ঢাকে। ’ সিদ্ধান্ত আমাদের—আমরা কি চোখ নামাব, না চোখ তুলব?

লেখক: যুগ্ম সম্পাদক, কালের কণ্ঠ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।