ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

সাদাসিধে কথা

‘কিন্তু-’

মুহম্মদ জাফর ইকবাল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৪
‘কিন্তু-’

যতই দিন যাচ্ছে আমি ততই ‘কিন্তু’ শব্দটার ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছি। আমার মনে হয় আমাদের ভাষায় এই শব্দটা তৈরি হয়েছে প্রতারণা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।

সোজা ভাষায় বলা যায় দুই নম্বরী কাজ করার জন্যে। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে, আমার টেলিভিশন দেখার খুব একটা সুযোগ হয় না, কিন্তু নভেম্বরের ৩ তারিখ রাত্রিবেলা আল জাজিরায় বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ওপর একটা অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে অন্যদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বক্তব্য রাখছিল। তার কথাবার্তা খুবই চমকপ্রদ, সে বলল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছিল।

এখানে পাকিস্তানি সেনাবহিনী নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, জামায়াত ইসলামী স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, এ সবই ঠিক আছে। কিন্তু- টবি ক্যাডম্যান এই ‘কিন্তু’ শব্দটা উচ্চারণ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে কী পরিমাণ নিম্নমানের এবং কী পরিমাণ অগ্রহণযোগ্য তার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে শুরু করল। আমাদের ভাষায় যদি ‘কিন্তু’ শব্দটা না থাকতো তাহলে কী সে এ দুই নম্বরী কাজটা করতে পারতো?

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আর তার পদলেহী জামায়াতে ইসলামীর রাজাকার আলবদর বাহিনী মিলে এ দেশে কী পরিমাণ নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সে কথাটুকু বলে তার বক্তব্য শেষ করে ফেলতে হতো। তাকে বলতে হতো এই দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে তাদের বিচার করতেই হবে। চল্লিশ বছর পর হলেও করতে হবে। শুধুমাত্র ‘কিন্তু’ শব্দটার জন্য সারা পৃথীবীর যত প্রতারক এবং যত ভণ্ড মানুষ আছে তারা প্রথমে ভালো ভালো কথা বলে শেষে দুই নম্বরী কথা বলতে শুরু করবে। তবে টবি ক্যাডম্যানের কথা আলাদা, তাকে জামায়াতে ইসলামী টাকা দিয়ে এসব কথা বলার জন্য ভাড়া করেছে, তাকে এই কথাগুলো বলতেই হবে। তার পরেও কথাগুলো উচ্চারণ করতে গিয়ে তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল- একটু পরপর তার পানি (কিংবা অন্য কিছু) খেয়ে গলা ভিজিয়ে নিতে হচ্ছিল!

শুধু জামায়াতের ভাড়া করা সাদা চামড়ার মানুষ নয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করার পর ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশগুলোকেও এই ‘কিন্তু’ মার্কা কথা বলতে শুনেছি। তারা প্রথমে অবশ্যই এই নৃশংস গণহত্যার বিচার করতে হবে, তারপর একুট দম নিয়ে বলে ‘কিন্তু’, তারপর ‘গরুর রচনা’ (অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানের বিচার হতে হবে) শুরু করে দেয়।

আমাদের ষোল কোটি মানুষের দেশে কতকিছুই তো আন্তর্জাতিক মানের নয় (প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়, দুই হাতে গোল্ডেন ফাইভ বিতরণ করা হয়) চিকিৎসা আন্তর্জাতিক মানের নয় (টাকা না দিলে চিকিৎসা শুরু হয় না, বিল শোধ না করলে মৃতদেহ আটকে রাখা হয়), ইলেক্ট্রিসিটি আন্তর্জাতিক মানের নয়, (সারা দেশের গ্রিড ফেল করে দশ ঘণ্টা পুরো দেশ অন্ধকার হয়ে থাকে), নিরাপত্তবাহনী আন্তর্জাতিক মানের নয় (ৠাব টাকা খেয়ে সাতজনকে খুন করে ফেলে), এমন কী টয়লেট পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের নয় (হাই কমোড নেই... ফ্লাশ নেই) কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার সেসব কিছু নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তাদের একমাত্র ‍মাথাব্যথা একাত্তরের কিছু নৃশংস খুনিদের বিচারের বেলায়।

এর আগেও তো এই দেশে কত বিচার হয়েছে। চুরি, ডাকাতি রাহাজ‍ানি থেকে শুরু করে খুন, ধর্ষণ কিছুই তো বাদ যায় নি। তখন তো কোনো দেশকে বলতে শুনি নি এই দেশে অপরাধীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের বিচার হচ্ছে না। আমাদের দেশের সেই একই বিচার ব্যবস্থা যখন পুরোপুরি এই দেশের আইনে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে তখন হঠাৎ করে তাদের মনে পড়লো যে, বিচার আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না।

আমরা এখন সবাই জানি ব্যাপারটা কেমন করে ঘটেছে। শুধুমাত্র আমেরিকাতে জামায়াতে ইসলামী ২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে সেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে নিজের দিকে টেনে নেওয়ার জন্য। পত্র-পত্রিকায় এর ওপর বিশাল রিপোর্ট বের হয়েছে। পড়ে বমি করে দিতে ইচ্ছে করে। টাকা দিয়ে অনেক কিছু কেনা যায় (ডলার হলে আরেকটু ভালো হয়)। কিন্তু একাত্তরে নির্যাতিত মানুষের বুকের ক্ষোভকে কোনো অর্থ দিয়ে কেনা যায় না।

যতদিন এই দেশের মানুষ এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করে মাতৃভূমির কলঙ্ক মোচন করতে চাইবে ততদিন বাইরের কোনো শক্তি আমাদের ব্যাপারে নাক গলাতে পারবে না। আমি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কাছে কৃতজ্ঞ, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে কৃতজ্ঞ এবং আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে কৃতজ্ঞ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি তীব্রভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য।

সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ এই সরকারের কাছে, যারা আমাদের কথা দিয়েছিল যে নির্বাচিত হলে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। তারা তাদের কথা রেখেছে।

২.
সিলেটে কৃষিকাজে ব্যবহার করার জন্য যন্ত্রপাতি তৈরি করার একটা ফ্যাক্টরি আছে। বেশ কয়েক বছর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সেই ফ্যাক্টরি থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তাদের ফ্যাক্টরি দেখার জন্য। আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের দেশের একেবারে নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি যন্ত্রপাতিগুলো দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল।

ফ্যাক্টরির মালিক ও কর্মকর্তারা আমাকে সবকিছু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। চলে আসার আগে তারা তাদের ‘ভিজিটার্স ব্লক’ এ বের করে নিয়ে আমাকে অনুরোধ করলো তাদের উদ্দেশে কিছু একটা লিখে দিতে। আমি আমার কথাগুলো লিখে স্বাক্ষর কর‍ার ঠিক আগে থমকে গেলাম, আমার ঠিক আগে বাংলাদেশের সেই সময়কার শিল্পমন্ত্রীর নিজের হাতের স্বাক্ষর। স্পষ্ট অক্ষরে নাম লেখা, মতিউর রহমান নিজামী।

আমি কলমটি কিছুক্ষণ ধরে রেখে আমার নিজের নামটি স্বাক্ষর করলাম। তীব্র এক ধরনের অপমানবোধ আমাকে গ্রাস করে রেখেছিল। যে মানুষটি বদর বাহিনীর প্রধান হয়ে এই দেশে পৃথিবীর ভয়াবহতম হত্যাযজ্ঞের  সহযোগিতা করেছে তাকে এই দেশের মন্ত্রী করে তার গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এই মানুষটি
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন গলা টিপে এই দেশটিকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এর চাইতে বড় দুঃখ লজ্জা গ্লানি অপমান কী হতে পারে? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবার পর অনেকদিন পার হয়ে গেছে, সবাই যেরকম দ্রুত একটি বিচার দেখতে চাইছিল, ঠিক সেভাবে বিচার হচ্ছিল না বলে অনেকের ভেতর এক ধরনের হতাশার জন্ম হচ্ছিল।

কোনো একটা অজ্ঞাত কারণে অনেকের ধারণা আমি অনেক ভেতরের খবর জানি, তাই আমার সাথে দেখা হলেই অনেকে জানতে চাইতো কী হচ্ছে। আসলেই কী যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ হবে- ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমি তখন তাদের পাল্টা প্রশ্ন করতাম, তাদের কী জামায়াত-বিএনপি আমলের সেই জোট সরকারের কথা মনে আছে, যখন দুই দুইজন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সেই সরকারের মন্ত্রী ছিল? যারা তাদের গাড়িতে এই দেশের পতাকা উড়িয়ে ঘুরে বেড়াতো? যারা প্রশ্ন করেন তারা সবাই মাথা নেড়ে স্বীকার করেন যে হ্যাঁ তাদের সবারই সেই অবিশ্বাস্য দিনগুলোর কথা মনে আছে।

তখন আমি তাদের জিজ্ঞেস করি তারা কী তখন কল্পনা করেছিলেন যে, একদিন সব যুদ্ধাপরাধী গ্রেফতার হয়ে জেলে বসে থাকবে, একজন একজন করে তাদের বিচার করা হবে? (মনে আছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছিল তাকে স্পর্শ করা হলেই সমগ্র চট্টগ্রামে আগুন লেগে যাবে। কোথায় সেই আগুন?)

গোলাম আযমকে যখন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল তখন সবাই মন খারাপ করেছিল। এখন কী আমরা বলতে পারি না এই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে এই দেশে থেকে যাওয়ার জন্যেই তাকে ধরে জেলাখানায় রাখা সম্ভব হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি পেয়ে তাকে জেলখানায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই কলঙ্ক মোচনের কাহিনী আজীবনের জন্যে লেখা হয়ে গেল!

যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সরকারের সদিচ্ছার ওপর সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা সবাই কিন্তু স্বীকার করতে বাধ্য হন জামায়াত-বিএনপির জোট সরকারের আমলে তারা কেউ কল্পনা করেন নি সত্যি সত্যি এই দেশের মাটিতে আমাদের জীবদ্দশায় তাদের বিচার শুরু হবে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যাদের মনে হতাশা সন্দেহ ও অবিশ্বাস ছিল গত কয়েকদিনের বিচারের রায় দেখে তাদের সেই হতাশা সন্দেহ এবং অবিশ্বাস অনেকটুকুই কেটে গেছে। আমরা এখন নিশ্চিতভাবে জানি আর কখনোই আমাদের সেই অন্ধকার দিনগুলোতে ফিরে যেতে হবে না।

৩.
একটা সময় ছিল যখন দেশদ্রোহী যুদ্ধাপরাধীরা এই দেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতো। একজন আমাকে বলেছেন, যে সেই সময়ে নাকি কিছু রাজাকার একাত্তরে তাদের বকেয়া বেতনের জন্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর খালেদা জিয়া বেশ অনেকবার সেটাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চেয়েছেন। ইদনীং সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

একজন যুদ্ধাপরাধীর রায় বের হবার পর বিএনপি আর তাদের মুক্তির কথা বলে না। দেশের অন্যসব মানুষের মতো গ্লানিমুক্তির আনন্দ উপভোগ করতে পারে না আবার সেটি নিয়ে তাদের আপত্তিটুকুও প্রকাশ করতে পারে না। গোলাম আযমের জানাজায় বিএনপির কোনো নেতা হাজির থাকার সাহস করেনি, যিনি হাজির ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর হিসেবে তার উপস্থিতি নিশ্চয়ই একটা তামাশার মত ছিল!

গোলাম আযমের ছেলে বিষয়টি নিয়ে খুব ক্ষুব্ধ, দেশের সেরা দেশদ্রোহীর সন্তান হওয়ার চাপ নিশ্চয়ই খুব বেশি, সেই চাপেই সম্ভবত তিনি বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে জামায়াতের সাহায্য ছাড়া বিএনপি কখনো ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তার এই চ্যালেঞ্জটি কী জামায়াতের শক্তির কথা বলেছে নাকী বিএনপির দুর্বলতার কথা বলেছে আমি বুঝতে পারিনি।

রাজনীতির জটিল হিসাব আমি বুঝি না, কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের হিসাব আমি খুব ভালো করে বুঝি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশটাকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন পাঠ্যবই, রেডিও টেলিভিশন বা মিডিয়াতে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হতো না, দেশদ্রোহী রাজাকারদের নৃশংসতার কথা বলা হতো না। সেই সময় এই দেশে একটা বিভ্রান্ত প্রজন্মের জন্ম হয়েছিল, সে কারণেই জামায়াতকে নির্বাচনে সঙ্গী করে বিএনপি নির্বাচনে জিতে আসতে পেরেছিল। আমার হিসাবে জামায়াতকে নিয়ে জোট করাটি ছিল এই দেশের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য। আমি তখন নতুন দেশে ফিরে এসেছি, জামায়াতকে নিয়ে জোট করার পর তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ছেলেদের হাহাকারের কথা আমি কোনোদিন ভুলব না।

তারপর অনেকদিন কেটে গেছে, এই দেশে নতুন প্রজন্ম এসেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনে বড় হয়েছে, নিজের দেশের জন্যে তাদের বুক ভরা ভালোবাসা, দেশ নিয়ে তাদের স্বপ্ন, তাদের অহংকার। এই নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেমের ভেতর যুদ্ধাপরাধীদের কিংবা যুদ্ধাপরাধীর দল জায়ামাতে ইসলামের কোনো জায়গা নেই। এক যুগ আগে নির্বাচনে যেটা সম্ভব হয়েছিল, ভবিষ্যতে আর কখনো সেটা সম্ভব হবে না!

এই দেশের মানুষ হিসেবে আমরা খুব বেশি কিছু চাই না, আমরা চাই সরকারি এবং বিরোধী দল দু’টিই হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল! একটা কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জন্যে আমি একবার শেরপুরের সোহাগপুর গিয়েছিলাম, আমি তখন বিধবাপল্লীর সেই বিধবাদের দেখেছিলাম। আমার মাও সেই দুঃখীনি বিধবাদের মত একজন দুঃখীনি হিসেবে তার জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। আমি তাদের বুকের ভেতরকার কষ্ট আর হাহাকারের কথা জানি, তাদের ক্ষোভটুকু অনুভব করতে পারি।

যে দেশের বাতাসে এরকম অসংখ্য মায়ের দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে আছে সেই দেশে একটি রাজনৈতিক দল হত্যাকারীদের নিয়ে রাজনীতি করবে সেটি হতে পারে না। বিধবাপল্লীর বিধবাদের অভিশাপ থেকে চল্লিশ বছরেও যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামান মুক্তি পায়নি- ‍অন্যেরাও পাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।