প্রায়শ আমি গ্রামে যাই। ওখানকার মানুষ, ওখানকার মেঠোপথ, সবুজ গাছগাছালি, পাখিদের কুঞ্জন ভীষণ ভালো লাগে আমার!
ওদের সহজ-সরলতা, আতিথেয়তা আমাকে খুব কাছে টানে।
রূপে-রসে-গন্ধে একেবারে আলদা রূপে সাজে প্রকৃতি। কয়েকদিন আগেও খাল-বিল, জলাশয়ে তারার মতো ফুটে ছিল নানা প্রজাতির শাপলা। কয়েক দিনের ব্যবধানে খালবিল, বিস্তীর্ণ জলাশয় কচুরিপানায় ঢেকে গাঢ় সবুজ জলজ গালিচায় পরিণত হয়েছে। এখন থোঁকায় থোঁকায় ফুটতে শুরু করেছে কচুরি ফুল। ঠিক এ সময়টায় শুষ্ক জলাশয়ের পাশ দিয়ে গেলে ইচ্ছে করে হাত বাড়িয়ে দুটো কচুরিফুল তুলতে। এই আমার সবুজ-শ্যামল গ্রামবাংলা! এটাই বোধ হয়, বাংলাদেশের চিত্রে বিশেষ একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
গ্রামে গেলে আমি হারিয়ে যাই। আমার অন্তর্দৃষ্টি খুলে যায়- কতই না সুন্দর আমার এ দেশ! গ্রামে ঘুরতে ঘুরতে সেখানকার স্কুল পড়ুয়া কিংবা স্কুল ঝরেপড়া শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কথা হয়। তরুণদের সঙ্গে আলাপ হয়। আড্ডার মাঝে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে ওদের কাছে জানতে চাই। ওরা ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারে না। কবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে, ওরা বলতে পারে না। এ না পারার বিষয়টা যে গ্রামে শিশু-কিশোর কিংবা তরুণদের বেলায় প্রাসঙ্গিক, তা কিন্তু নয়; শহুরের বড় বড় নামি-দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেলাতেও ততটা প্রাসঙ্গিক। ওরাও ঠিকমতো বলতে পারে না।
যে বাংলাদেশ এত রক্ত, এত ত্যাগ-তিতীক্ষায় স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তার সম্পর্কে এদের জানার অস্পষ্টতা খুবই পীড়াদায়ক। অথচ ইতিহাস চর্চার ভেতর দিয়ে এদের অর্জন অনেক দূর পৌঁছে যেতে পারতো।
ওদের দুর্ভাগ্য, আমাদের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। যাদের কাছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, তাদের রণাঙ্গণে যুদ্ধ করার কথা জানতে পারে, তাদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই দিন দিন কমে যাচ্ছে। এছাড়া তাদের কাছে আমাদের শিশু-কিশোরদের নিয়ে যাওয়ার কোনো উদ্যোগ সত্যিকারার্থে গড়ে ওঠেনি এত বছরেও। একজন মুক্তিযোদ্ধার একটু স্পর্শ পেলেও মুক্তিযুদ্ধকে তারা ছুঁয়ে যেতে পারতো। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর চেষ্টা করছে সারাদেশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর উদ্যোগ নিয়ে যাওয়ার।
সরকারের কথা নাইবা বললাম! যখন যে সরকার আসছে, সেই সরকার তাদের মতো করে পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস প্রকাশ করে যাচ্ছে। ঢুকিয়ে দিচ্ছে প্রকৃত ইতিহাসের আড়ালে মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের কৃতিত্ব। পাঁচবছর পর পর পাঠ্যপুস্তকে এমন পরিবর্তন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিহাস চর্চায় অনীহা চলে আসছে।
চার দশক আগে এই শ্যামল দেশের সবুজাঙ্গনে এক দুনিয়া কাঁপানো যুদ্ধ হয়েছিল। অন্যায়ের প্রতিবাদে লাখ লাখ যৌবন এক অখণ্ড অঙ্গার থেকে জ্বলে উঠেছিল। সে আগুন ছড়িয়ে গিয়েছিল তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ। আর যেখানেই কুটো থেকে আগুন জ্বলেছিল, সেখানেই স্বাধীনতার উপ্ত বীজের সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নিয়েছে, নতুন নতুন গল্পের, কাহিনীর।
এ গল্পগুলো কোনো কল্পগল্প নয়। ইতিহাস যেমন এক সময় গল্প হয়ে ওঠে, এ অনেকটা সে রকমই। এর একটা ধারাবাহিকতাও ছিল এবং আছে। এ ধারাবাহিকতা এ গল্পের মূল কুশীলবদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থেকে শুরু করে এ জনজীবনের অন্তর্নিহিত আকাঙ্ক্ষাজনিত প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্যে গ্রথিত হয়ে আছে।
দুনিয়া কাঁপানো মুক্তিযুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তনের সশস্ত্র সংগ্রাম। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্র আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে।
পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। মা-বোনদের পাশবিকভাবে ধর্ষণ করে নির্যাতন করে। পরিকল্পিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায়, ‘প্রতিরোধযুদ্ধ’!
জীবন বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে মুক্ত করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে ‘মুক্তিবাহিনী’।
গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে উদভ্রান্ত করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
অতঃপর, ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনী ‘মিত্র বাহিনী’র সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে ইতোমধ্যে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে রমনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানের ৯৩,০০০ হাজার সৈন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এরই মাধ্যমে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়। প্রতিষ্ঠিত হয়, বাঙালি জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র- বাংলাদেশ।
কিন্তু গল্প, গল্প-কথকের পরিকল্পনানুযায়ী বাঁক নেয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক গল্পগুলো তার নায়ক-নায়িকাদের মুখ থেকে শোনা। তারা বলে গেছেন, লিখে গেছেন খুব কম। সে সুযোগেই এ সত্যগল্পগুলোও কিছু বিভ্রান্তময় বাঁক নিয়েছে।
তারপর চলে গেছে বহুদিন। কিন্তু ‘প্রেমের মরা জলে ডোবে না’! বাংলাদেশকে ভালোবেসে আগুন মুখে নিয়ে যুদ্ধের যে গল্পগুলো জন্ম নিয়েছিল, তৃতীয় প্রজন্মে এসে সে সব গল্পই নতুনদের কণ্ঠে আবার কবিতা, গান ও কথা হয়ে উঠছে।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন কবি শামীম আজাদ। এক সময়ে তিনি বাংলাদেশে ‘ফ্যাশন সাংবাদিকতা’-কে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছেন। তার একটি লেখায় তিনি উল্লেখ করেন- ‘ক’বছর আগের এক শীতার্ত নভেম্বর। হুইল চেয়ারে করে ব্রিটিশ রয়্যাল লিজিওনের হয়ে মহাযুদ্ধের স্মারক টুকটুকে লাল কাগজের পপি বিক্রি করছিলেন ইংরেজ বৃদ্ধ টেড স্টকওয়েল। নিজেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ফেরত আহত সেনা। তার কাছেই শুনেছিলাম প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর প্রাণহীন বিশুষ্ক ভূমিতে প্রথম ফোটা ফুলের নাম ছিল পপি। সেই থেকেই হাতে তৈরি পপি বিক্রি করে এক ক্যানাডিয়ান নারী তার বিক্রয়লব্ধ অর্থে মৃত সৈনিকদের সন্তানদের জন্য কিনেছিলেন প্রথম ক্রিসমাস উপহার। সেইতো শুরু। এখন পাশ্চাত্যে তা এক বিশাল ব্যাপার!’ - এই প্রণোদনা থেকে শামীম আজাদের মনে হলো, একাত্তরের ডিসেম্বরের সেই বিস্ময়কর সময়েই তো ফুটেছিল বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দর ফুল। পতাকার ঘন সবুজে যে রক্তিম সূর্য উঠেছিল, তারই রূপকল্পেই তো হতে পারে, আমাদের ‘বিজয়ফুল’।
‘বিজয়ফুল’
১৯৯৮ সালে প্রথম তিনি ‘বিজয়ফুল’-এর ধারণা প্রচার শুরু করেন। গত কয়েক বছরে যুক্তরাজ্য ছেড়ে এ কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়তে থাকে বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাজ্যের ৩৯টি স্থানে বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। যুক্তরাজ্যের বাইরে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, বেলজিয়াম, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে চলছে এ কর্মসূচি।
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত শিশু-কিশোররা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ‘বিজয়ফুল’ তৈরি ও বিতরণে কাজ করেছে। নবপ্রজন্ম যারা দেখবে তাদের মা-বাবার জামায় ‘বিজয়ফুল; স্বভাবতই প্রশ্ন জাগবে। বাবা ও মায়েরা তখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা তাদের বলবেন, বলবেন বিজয়ের কথা।
পাঁচটি সবুজ পাঁপড়ি, মাঝখানে লালবৃত্ত- ‘বিজয়ফুল’; আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতীক।
কয়েক বছর ধরে ডিসেম্বর আসলেই ১ তারিখ থেকে ১৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন দেশ-বিদেশের বাংলাদেশিরা নিজেদের জামা, ব্লাউজ, শার্ট, পাঞ্জাবি, টি-শার্টে এ ফুল পরছেন। ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে ও বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের এই প্রতীককে ঘিরে করছে- মুক্তিযুদ্ধের গল্পবলা, লেখা ও আর্ট ওর্য়াকশপ।
আঁকার ছলে কিংবা কেটে কেটে তৈরির সুবাদে খুব সহজেই শিশু-কিশোরদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে- বাংলাদেশের জন্ম-ইতিহাস।
দেশে-প্রবাসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা ‘বিজয়ফুল’-কে বেছে নিয়েছেন স্মৃতিচারণার সূত্র হিসেবে। কাগজের তৈরি এ সহজ অনাড়ম্বর ফুলটি গেয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহাসিক একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি!
‘বিজয়ফুল’-এর মূল লক্ষ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করা। যখন ‘বিজয়ফুল’ ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে’ তখন কেন্দ্রীয় ও শাখা কমিটি এ ফুল বিক্রি করে একটি তহবিল গঠন করবে। এ তহবিলের অর্থ মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত গবেষণা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সহায়তায় কাজে লাগানো হবে। এ হচ্ছে ‘বিজয়ফুল’-এর আগামীদিনের ভাবনা।
‘বিজয়ফুল’ এখন সবার। বিশেষত, বহির্বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে ‘বিজয়ফুল’ হয়ে উঠছে মুক্তিযুদ্ধের একটি অনন্য স্মারক। এই কার্যক্রমটি লন্ডন থেকে মিল্টন রহমান, মুনতাকিম চৌধুরী মুন্তা, খাদিজা, বুলবুল, অজন্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও বয়সী ব্যক্তির মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশে ‘বিজয়ফুল কর্মসূচি’ উদযাপিত হলেও ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। সেই বছরের ২৪ নভেম্বর ধানমন্ডির সাত নম্বর রোডের আড়িয়াল হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে কবি শামীম আজাদ ‘বিজয়ফুল’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ঢাকাতে প্রায় ছয় হাজার সাইকেল আরোহী ‘বিজয়ফুল’ পরে র্যালি করে। শরীফ নিজামের নেতৃত্বে শিশির পোদ্দার, আলতাফ হোসেন, সিরাজুল আলম, শামীমা, বেলাল বাঙালি, রুবেল, মার্জিত প্রিমা, মাহবুবা মোনা, ভুবন লাল ভারতী, ফয়জুল ইসলাম জাহান (নোয়াখালী)-সহ একদল তরুণ উজ্জীবকের কর্মতৎপরতায় বাংলাদেশে ‘বিজয়ফুল’ কর্মসূচি উদযাপিত হচ্ছে।
আমি প্রথম থেকেই বাংলাদেশে ‘বিজয়ফুল’ কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে খুবই খুশি। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কাজে যুক্ত হওয়াটা গৌরবের কাজ বলে আমি মনে করি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ‘বিজয়ফুল’ পরুক।
যিনি এ ‘বিজয়ফুল’-টা পোশাকে, পকেটে পরবেন, তার মধ্যে অবিনাশী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি তৈরি হবে। এ শক্তি হতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ জাগরণ। এ জাগরণ তৈরি করতে আমরা কয়েকজন সচেষ্ট।
বাংলার মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে প্রান্তর ছেড়ে তেপান্তরে। সবখানে ‘বিজয়ফুল’-এর সরব উপস্থিতি প্রতিবছরের মতো এবারও পরিলক্ষিত হবে। এ বিষয়ে সবার আগ্রহ লক্ষণীয়। অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। জানতে চেয়েছেন, কর্মসূচি সম্পর্কে। ‘বিজয়ফুল’ কর্মসূচি সবার কর্মসূচি। যে যেখানে অবস্থান করছেন, আয়োজন করুন ‘বিজয়ফুল’ কর্মসূচি।
বাংলাদেশিরা দেশে-প্রবাসে যেখানেই থাকুক না কেন, ‘বিজয়ফুল’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য ‘বিজয়ফুল’ ওয়েবসাইটে (www.bijoyphool.com ) ক্লিক করতে হবে।
এখানে একটি গাইড লাইন দেওয়া আছে। এখানে ক্লিক করে প্রয়োজন মতো ‘বিজয়ফুল’ প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে শিশু-কিশোরদের নিয়ে ‘বিজয়ফুল’ তৈরি করুন। ফুল তৈরিতে লাগবে প্লাস্টিক টেপ আর সেফটিপিন। অথবা আপনি নিচের টেম্প্লেট অনুসরণ করে রঙ-তুলি দিয়েও তৈরি করে নিতে পারবেন একটি ‘বিজয়ফুল’।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করুন, ‘বিজয়ফুল’ পরুন এবং অন্যকেও পরান।
হাবীব ইমন: সমন্বয়ক - বিজয়ফুল, কবি, গণমাধ্যমকর্মী
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৪