ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সুযোগ পেলে বিএনপি লাখ লাখ মানুষ মেরে ফেলবে: শ ম রেজাউল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
সুযোগ পেলে বিএনপি লাখ লাখ মানুষ মেরে ফেলবে: শ ম রেজাউল ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

ঢাকা: সুযোগ পেলে বিএনপি লাখ লাখ মানুষকে মেরে ফেলবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ার পরও বিএনপি অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে তাকে ‘সাসপেক্ট’ করেনি। তারা এখনো সুযোগের অপেক্ষায় আছে। যদি সেই সুযোগ পায় বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে একদিনে মেরে ফেলবে। দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করবে। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করেন তাদের অপরাধী হিসেব চিহ্নিত করা হবে। তাদের জেলে পাঠাবে এবং মৃত্যুদণ্ড দেবে।

তিনি বলেন, কয়েকজন রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধীদের ফাঁসি দিয়ে সমস্ত সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনাশ করতে পারিনি। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্তরসূরিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে, রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে সব জায়গায় ছদ্মভাবে আছে। কেউ কেউ নব্য আওয়ামী লীগ হয়েছে, কেউ কেউ আমাদের চেয়ে বেশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। কিন্তু মৌলিক চরিত্র তাদের ভেতরে সুপ্ত আছে। সময় হলে তারা সেই চরিত্র নিয়ে হাজির হবে। তাই ১০ জানুয়ারিকে উদযাপন করার সময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষের ঐক‌্য দরকার।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, যখন নির্বাচন সামনে আসে তখন নৌকাকে ঠেকানোর জন্য আওয়ামী বিরোধী ও আওয়ামী লীগ দুটি দল হয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় নানাজন নানা দল করে, কিন্তু ভোট এলে বাম প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি এক হয়ে যায়। তারা নৌকা বিরোধী নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। মুক্তিযোদ্ধের চেতনা ঠেকানোই তাদের মূল লক্ষ্য।

বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী, জাতীয়তাবাদী, ক্ষণজন্মা নেতা ছিলেন উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিপ্লবের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল ছাত্রজীবন থেকে। যে দেশ আমরা পেয়েছি সেই বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যদি ১০ জানুয়ারি ফিরে না আসতেন তাহলে আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো। তিনি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন সেদিন বাংলাদেশ পরিপূর্ণতা পেয়েছিল।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বিনাশ হয় না, কোনো একজন খ্যাতিমানের মৃতুর মধ্যে দিয়ে সবকিছু বিনাশ হয় না। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, দর্শন, আর্দশ, পথচালার পাথেয় ও অবিনাশী সত্তা। বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, নিপীড়িত মানুষ যখনই পথ হারাবে, পথ খুঁজতে হলে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য, তার সংগ্রামী জীবন থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।