ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়ের কারণে জনগণ জিম্মি: রিজভী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়ের কারণে জনগণ জিম্মি: রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী এখন আবার ডামি উপজেলা নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারাও সুযোগ পাচ্ছেন না।

মন্ত্রী-এমপিদের ভাই, শ্যালক, ভাগিনা, ভায়রাদের কারণে জনগণ জিম্মি।  

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাতদিন ধারাবাহিক কর্মসূচির প্রথম দিনে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মধ্যে বোতলজাত পানি, স্যালাইন বিতরণকালে তিনি একথা বলেন।  

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

রিজভী বলেন, প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় রাজত্ব সৃষ্টি করেছে তারা। তাও ডামি এমপি। আজকে ডামি এমপির স্ত্রী, শ্যালক, ভাই দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে এমপিরাজ। এমপি রাজত্বের কারণে জিম্মি গোটা এলাকা।

তিনি বলেন, ফরিদপুরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে দুই হাজার কোটি টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই নাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এই আলাদীনের চেরাগ কই থেকে এলো? কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়া এতো বাড়িঘরের মালিক কিভাবে হলেন?

বিএনপির এই জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা বারবার বলেছেন, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন না। কিন্তু গণবিরোধী প্রধানমন্ত্রী গণবিরোধী প্রজেক্ট করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ঢাকার চারপাশের নদী দখল করে ভরাট করেছে। ক্ষমতাসীনদের সৃষ্ট পরিবেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য দেশের তাপমাত্রা বাড়ছে।

তিনি বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে জিয়াউর রহমান রেশনিং ব্যবস্থা তুলে নিয়েছিলেন। আজকে দেশের অর্থনীতিকে লুটতরাজ করে ভঙ্গুর করে ফেলেছে। মুখে স্বয়ংসম্পূর্ণের কথা বলে আবার রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। তাও সাধারণ মানুষ এর আওতায় নয়, আওয়ামী গোষ্ঠী এই রেশনিং কার্ডও দলীয়করণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সময় দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ থাকে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন রেশনিং লাগে।

ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন বিএনপির কর্মসূচির দিন কেন আপনারা পাল্টা কর্মসূচি দেন? তিনি বললেন, বিএনপিকে মানসিকভাবে বাধা দেওয়ার জন্য আমরা পাল্টা কর্মসূচি দেই। এতেই প্রমাণ হয় ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেন। তিনি (ওবায়দুল কাদের) চাঁদাবাজ ও গুণ্ডাদের গডফাদার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোহন, হাজী মনির হোসেন, সদস্য দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
টিএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।