জুলাই সনদকে শক্তিশালী আইনি ভিত্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় দলটির নেতারা এ কথা বলেন।
সভায় খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, পেশিশক্তি, কালো টাকার প্রভাবমুক্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশে সবার। এজন্য নির্বাচনের পূর্বেই প্রয়োজনীয় সংস্কার জরুরি।
তারা বলেন, জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে জুলাই সনদ ঘোষণা ত্বরান্বিত করতে হবে। জুলাই সনদকে শক্তিশালী আইনি ভিত্তি দিতে হবে। কার্যকর সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তা জরুরি। গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন।
খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দ্রব্যমূল্য আবারও অসহনীয় হয়ে উঠছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করে আরও বলা হয়, সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় সম্প্রতি দুই জন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে হত্যার উসকানি দেওয়া হয়েছে। যা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নেতারা বলেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সেই সমকামী উসকানিদাতাকে বহিষ্কার করা হলেও আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎসকে হত্যার উসকানিদাতার পক্ষাবলম্বনকারীরাও সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
খেলাফত মজলিস নেতারা বলেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে ইসলাম ও সমাজবিরোধী অপচেষ্টা বিশেষ করে পশ্চিমা বিকৃত চিন্তাচেতনা ও অপসংস্কৃতি স্বাভাবিক করার কোনো অপচেষ্টা সহ্য করা হবে না। কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা—যারাই বাংলাদেশে এই অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকুক না কেন, দল-মত নির্বিশেষে এদের বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ আছে।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল প্রমুখ।
আরকেআর/এমইউএম
