ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দুর্নীতি-লুটপাটের দায় নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপবে: সিপিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
দুর্নীতি-লুটপাটের দায় নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপবে: সিপিবি

ঢাকা: ধনিকশ্রেণির দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় মেহনতি ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর চাপবে বলে প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এসব জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২০২৫ পেশ করার পর সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

সিপিবি নেতারা বলেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য এখন সময়টা ভালো নয়। অধিকাংশ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যয় বেড়েই চলেছে। সবার কাজের নিশ্চিয়তা নেই। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ জনগণকে স্বস্তি দেবে না। বাজেট বক্তিতায় মিষ্টি কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে নানাভাবে কর ও মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার পথ আরও প্রশস্ত করা হয়েছে।

বাজেট প্রসঙ্গে বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, এবারের ঘোষিত বাজেট ধনিকশ্রেণির দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় মেহনতি ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর চাপাবে। ফলে গরিব মেরে ধনী পোষার অতীতের ধারা এবারেও বাজেটে অব্যাহত থাকবে। সে সঙ্গে এ সংকোচনমূলক বাজেট প্রবৃদ্ধি কমাবে কিন্তু বেকারত্ব বাড়াবে।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ডলারের বিনিময় হার হঠাৎ বিদ্যুৎ গতিতে বৃদ্ধি করার কারণে সব আমদানি দ্রব্যের দাম বিদ্যুতের বেগে বৃদ্ধি পাবে। সরকার একদিকে মূদ্রাস্ফীতিকে এ বাজেটে প্রধাণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু অন্যদিকে আইএমএফ এর নির্দেশ পালন করে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তার দায় গ্রাহকের উপর চাপিয়েছে।    

‘মূদ্রাস্ফীতির ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা দারিদ্রের দিকে ঝুঁকে পরছে এবং দরিদ্ররা চরম দরিদ্র হয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। সে সঙ্গে উৎপাদনশীল খাতে সাধারণ শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমছে। নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- শ্রমিকরা দাবি করেছিল চাল-ডাল-তেল ও শিশু খাদ্যের রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু বাজেটে তা করা হয়নি। যারা ঋণখেলাপি ও টাকা পাচারকারী তাদের কাছ থেকে সরকার তা আদায় না করে ব্যাংকের সুদের হার বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে। ফলে সে সমস্ত ব্যাংক ঋণগ্রহীতারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে তার উৎপাদনশীল ব্যবহার করে ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করেছে, তাদের এখন বর্ধিত সুদের বোঝা বাধ্য হয়ে বহন করতে হচ্ছে।  

নেতারা মন্তব্য করেন, অর্থনৈতিক সংকটের মুখে প্রণীত এ বাজেট আয়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে সাধারণ জনগণের ওপর। কিন্তু জনগণের জন্য বাজেটে কল্যাণমূলক ব্যয় আরও হ্রাস করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।